জেবি টিভি রিপোর্ট : বাংলাদেশ থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে এসে বৈধভাবে থাকছেন, তাদের অনেকেই দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের এ দেশে আনার জন্য আবেদন করেন। পরিবারের সদস্যদের আনার জন্য যারা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন, যাদের আবেদন পেন্ডিং আছে কিংবা যারা আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা নিজেই নিজের এফিডেভিট অব সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। যারা এত দিন এখানে থাকার পরও নিজ নিজ পরিবারকে এ দেশে আনার জন্য সাপোর্ট করতে পারছেন না, অন্য মানুষের সাপোর্ট নেন, আগামী দিনে তাদের সমস্যা হতে পাবে। কারণ এখানে কেউ কারও পরিবারের সদস্যদের আনার পর তারা যদি পাবলিক চার্জ রুলে থাকা সুবিধাগুলো নেন, সরকার চাইলে স্পন্সর করা ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করতে পারবে। এই নিয়ম থাকলেও এত দিন তা আদায় করা হতো না।
সূত্র জানায়, এ দেশে আসার পর সম্ভব হলে অনেকেই দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের এখানে নিয়ে আসেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই তার আয় ততটা বাড়াতে পারেন না, যে কারণে পরিবারের সদস্যদের এখানে আনার জন্য স্পন্সরের যে অর্থ প্রয়োজন, সেটি দেখাতে পারেন না। তখন অন্য আরেকজনের আর্থিক সাপোর্ট দেখান। আগামী দিনে যারা এমনটি করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের এখন থেকেই সাবধান হওয়া ভালো। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন এর আগের বারও চেয়েছে ইমিগ্র্যান্টরা এ দেশে আসার পর যাতে সরকারের ওপর বোঝা না হন। তাই আগামী দিনে এ বিষয়টিও নজরদারিতে আসতে পারে। যারা নিজেরাই সরকারি সুবিধা নিয়ে চলছেন, তারা আরও মানুষ এনে সরকারের ওপর ও আমেরিকান করদাতাদের ওপর বোঝা বাড়ান। ফলে এখন থেকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। কারণ যিনি তার পরিবারের সদস্যদের আনার আবেদন করছেন, নিয়ম হলো যাদেরকে তিনি এ দেশে নিয়ে আসবেন, তিনি নিজে কাজ করবেন। যারা আসবেন তারা পরিবারের অথবা নিজ নিজ খরচ নিজেরা পরিচালনা করবেন। তারা তা না পারলে যে ব্যক্তি স্পন্সর করছেন, তিনি তাদের খরচ বহন করবেন ১০ বছর। সরকারের ওপর নির্ভরশীল হতে পারবেন না।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যাদের এখানে চলার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই, তাদেরকে দেখার কেউ নেই, পরিবারের কেউ তার খরচ বহন করবেন না-এমন হলে বা কোনো উপায় না থাকলে জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে তারা সুবিধা নেওয়ার যোগ্য হলে নিতে পারেন। কিন্তু যারা কাজ করতে সক্ষম, তারা কাজ না করে সরকারের সুবিধা গ্রহণ করলে সমস্যায় পড়তে পারেন। এ বিষয়ে কড়াকড়ি আসতে পারে। ফলে যে যার পরিবারের সদস্যদের জন্য আবেদন করবেন, তিনি যাতে দেখাতে পারেন ওই সদস্যদের খরচ বহন করার সক্ষমতা তার আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি স্টেটের মধ্যে ৪৮টি সংলগ্ন স্টেট এবং কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্টের জন্য ২০২৫ সালের দারিদ্র্য নির্দেশিকা হলো একজনের পরিবার হলে পভার্টি লেভেলের আয়ের পরিমাণ হবে ১৫,৬৫০, দুজনের পরিবার হলে ২১,১৫০, তিনজন হলে ২৬,৬৫০, চারজনের ৩২,১৫০, পাঁচজনের ৩৭,৬৫০, ছয়জনের জন্য ৪৩,১৫০, সাতজনের জন্য ৪৮,৬৫০, আটজনের পরিবার হলে পভার্টি লেভেলে আয়ের সীমা ৫৪,১৫০। এ ছাড়া আটজনের বেশি সদস্যের পরিবারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক অতিরিক্ত ব্যক্তির জন্য ৫,৫০০ যোগ করতে হবে। গত বছরের তুলনায় পভার্টি লেভেলে কিছুটা আয় বেড়েছে। প্রতিবছর কস্ট অব লিভিংয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এটা করা হয়।
![67a63d85e4d30](https://joybangladesh.tv/wp-content/uploads/2025/02/67a63d85e4d30-696x398.gif)
Share
আরও পড়ুন