Saturday, February 8, 2025

ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর ২৬০০ অভিবাসী আটক

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৮০ জনের বেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। রোববার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একদিনেই সর্বোচ্চ ৯৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেয়ার পরই অভিবাসীদের বহিষ্কার ও সীমান্ত বন্ধের নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই দেশজুড়ে অভিবাসীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে আইসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ইলিনয়, কলোরাডোসহ বিভিন্ন স্থানে অভিবাসীদের ধরতে জোরালো অভিযান চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা। তালিকা ধরে এই অভিবাসীদের আটক করছে তারা। শুধু গ্রেফতারই নয় আটকের পর তাদের ফেরত পাঠানোর কাজও শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

দেশে অভিবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তাদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন আচরণকে অমানবিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া।

অপরাধীদের গ্রেফতারের পক্ষে মত দিলেও আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ অভিবাসীদের গ্রেফতার করে তাদের ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

আইসের সাবেক অ্যাকটিং ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া মিশেল বলেছেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে তা অনেকটাই বিরল। বিগত সরকারের সঙ্গে নীতিগত পার্থক্যের কারণেই ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ চোখে লাগছে বলে মনে করেন তিনি।

রিপাবলিকানরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় আগেই এ বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন, যা অনুসরণ করেই তারা এমন অভিযান চালাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মিশেল।

অপরাধে জড়িত অভিবাসীদের দেশ থেকে বিতাড়নের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন আইসের আরেক সাবেক অ্যাকটিং ডিরেক্টর জনাথন ফেহি।

তার মতে, বাইডেন সরকার এমন পদক্ষেপ নেয়নি বলেই ট্রাম্প প্রশাসনের এমন নীতি নিতে হয়েছে। তাই এ সরকার কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়লেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক আইস প্রধান।

গ্রেফতার ও দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার ভয়ে অনেক স্থানে আইসের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন অনেক অভিবাসী। বিশেষ করে যাদের নথি সংক্রান্ত ত্রুটি কিংবা আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এসব কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সবকিছু শেষ করে দ্রুত সঠিকভাবে অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

জ্যামাইকা থেকে আগত এ নারী বলছেন, এতো বিশৃঙ্খলার মধ্যেও অনেকেই সবকিছু ঠিকঠাক করতে এসব কার্যালয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তেমনটা না হলে তাদের পরিবার ও নিজেও বড় ধরণের সমস্যায় পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

‘ডাকা’ অভিবাসন নীতির আওতায় নিউ ইয়র্কে কাজ করছেন সারাই মারকুয়েয নামের অভিবাসী এক নারী। ট্রাম্প প্রশাসনের গণ-বিতাড়ন অভিযানের কারণে নিজের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানান মারকুয়েয। অ্যামেরিকার অর্থনীতিতে তিনি ও তার পরিবার ভূমিকা রাখছে দাবি করে তাদের সঙ্গে আসলেই কি হতে যাচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কিত এ নারী অভিবাসী।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ