জেবি টিভি রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করলে তা কীভাবে মোকাবিলা করবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় পদত্যাগ করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) তিনি পদত্যাগ করেন। এর ফলে আরও চাপে পড়েছে ট্রুডো সরকার। খবর রয়টার্স
ফ্রিল্যান্ড বলেন, গত শুক্রবার ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকরে পর তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ ট্রুডো তাকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অন্য পদে বসাতে চেয়েছেন।
এ অবস্থায় ট্রুডোর অভ্যন্তরীণ সার্কেলের সদস্য জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক লেব্লাঙ্ককে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ৫৬ বছর বয়সী ফ্রিল্যান্ড উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ অবস্থায় তার পদত্যাগ
২০১৫ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসা ট্রুডো সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয় পরবর্তী নির্বাচনে ট্রুডো যখন বিরোধী দল কনজারভেটিভের কাছে পরাজিত হওয়ার পথে রয়েছেন তখন তিনি ফ্রিল্যান্ডের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হারালেন।
একটি স্বতন্ত্র সূত্র জানিয়েছে, ট্রুডো চেয়েছেন ফ্রিল্যান্ড কোনো পদ ছাড়াই কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করবেন। এ নিয়ে কথা বলতে গত সোমবার জাস্টিন ট্রুডো ফ্রিল্যান্ডসহ ন্যাশনাল লিবারেল ককাসের সঙ্গে দেখা করেন। তবে সেখানে কি ধরনের আলোচনা হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানান উপস্থিত ব্যক্তিরা।
শ্রমমন্ত্রী স্টিভেন ম্যাককিনন বলেন, সেখানে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, এর বেশিকিছু তিনি আর বলেননি।