Saturday, February 8, 2025

জার্মানির হামলার পর উদ্বেগ বেড়েছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরে গাড়ি চাপায় হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে। কারণ সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি বার বার উঠে আসায় একই ঘটনা এখানে ঘটার সম্ভাবনাকে অমূলক মনে করছেন না অ্যামেরিকার সাবেক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট এভি পুমপুরাস।
সিটির ক্রিসমাস মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারসহ জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। তবে এ নিয়ে নিউ ইয়র্কবাসীর খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন ইন্টারন্যাশনাল প্রাকটিস এট বিজিআর গ্রুপের সহ প্রধান লেস্টার মনসন।

শুক্রবার পূর্ব জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি হামলায় শিশুসহ অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২শ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম তালেব আল আব্দুল মহসিন। তিনি সৌদি আরবের নাগরিক। পেশায় চিকিৎসক ৫০ বছর বয়সি তালেব ২০০৬ সাল থেকে এদেশে বসবাস করছেন।

হামলার এ ঘটনাটি পূর্বপকিল্পিত হতে পারে বলে মনে করছেন অ্যামেরিকার সাবেক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট এভি পুমপুরাস বলেন। তার মতে, যেকোন জনসমাগমপূর্ণ এলাকা হামলাকারীদের টার্গেট হতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া। কারণ মার্কেটের প্রবেশ মুখে শক্ত কোন ব্যারিকেড ছিল না। যা ছিল তা অনায়াসেই পার করতে পেরেছে গাড়ি চালকরা। এছাড়া সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন ছিল না।

এভি বলেছেন, জার্মানির ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে। কারণ সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি বার বার উঠে আসায়চ একই ঘটনা এখানেো ঘটার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তাই এদেশের ক্রিসমাস মার্কেটগুলোতেো নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। সেই সঙ্গে জনগণ কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

নিউ ইয়র্ক সিটির নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে এনওয়াইপিডির সাবেক কর্মকর্তা বিল স্টানটন বলেছেন, মার্কেটের মতো লোকসমাগমপূর্ণ স্থানে পরিস্থিতিগত সচেতনতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বর্পুণ। কারণ এসব স্থানে একই সঙ্গে অনেক মানুষ জড়ো হয়। এদের মধ্যে চরমপন্থিসহ অনেক ধরনের লোকই থাকতে পারে। তারা যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই জনগণকেও সচেতন থাকতে হবে।

বিল বলেছেন, হামলাকারীর বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আইনশৃংখলাবাহিনী। এক্ষেত্রে তার ফোন কল লিস্ট ইমেইল, সামাজিক মাধ্যমের দেয়া বিভিন্ন পোস্ট, এসব কিছু ভালভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে কাজটি পূর্ণপরিকল্পিত না কিনা চরমপন্থি হিসেবে করা হয়েছে।

তবে এ নিয়ে নিউ ইয়র্কবাসীর খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন ইন্টারন্যাশনাল প্রাকটিস এট বিজিআর গ্রুপের সহ প্রধান লেস্টার মনসন। তার মতে, এখন অনেক ধরনের সহিংসতা ঘটনাই চারপাশে ঘটছে। এসব ভেবে অ্যামেরিকারদের নিজের কাজ বা দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তনের কোন প্রয়োজন নেই।

মার্কেট বা যেকোন জনসমাগতপূর্ণ স্থানে চলাচলের সময় ক্রেতা বা সাধারণ জনগনকে সচেতন থাকতে হবে। যানবাহন বা অপরিচিত লোকদের বিষয়ে বাড়তি সর্তকতা প্রিয়জনদের সাবধানে রাখা, যেকোন পরিস্থিতিতে পুলিশকে খবর দেয়া এবিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ