জেবি টিভি রিপোর্ট : নিউ ইয়র্ক সিটির সাবওয়েতে বাসিন্দা, গুরুতর মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ও ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন মেয়র এরিক অ্যাডামস। গত সপ্তাহে তাঁর স্টেট অফ দ্য সিটি ভাষণে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার পরিকল্পনার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এবার তার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
অ্যাডামস বলেন, আমাদের নতুন ‘ব্রিজ টু হোম’ মডেল গুরুতর মানসিক অসুস্থতায় ভোগা নিউইয়র্কারদের সহায়তা করবে এবং আমরা জানি যে এই ধরনের ১ হাজার স্ট্রিট বেডের চাহিদা অনেক বেশি এবং তা অত্যন্ত কার্যকর। আমাদের প্রশাসন সিটির ইতিহাসে স্ট্রিট হোমলেসনেসের সেবায় সবচেয়ে বড় বার্ষিক বিনিয়োগ করেছে এবং আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি তার চেয়ে আমাদের স্ট্রিট প্রোগ্রামিং বাজেট দ্বিগুণ করেছি। আমরা এই সমস্যার সমাধানে নেতৃত্ব দিতে থাকব, কারণ এটি সঠিক এবং মানবিক কাজ এবং এটি নিউইয়র্ক সিটিকে একটি পরিবারের জন্য সেরা জায়গা বানানোর পথ।
নিউইয়র্ক সিটি হেলথ হসপিটালসের সিইও ড. মিচ কাটজ বলেন, বর্তমানে মনোরোগ চিকিৎসায় একটি মৌলিক ঘাটতি রয়েছে। “১৪, ২১ বা ২৮ দিনের চিকিৎসার পর আমরা তাদের কী করি? আমরা তাদের কোথাও না পাঠিয়ে ছেড়ে দিই বলেও জানান তিনি।
মেয়র জানান, নিউইয়র্ক সিটি হেলথ হসপিটালসের নতুন “ব্রিজ টু হোম” পরিকল্পনার আওতায়, গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা এবং কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকা রোগীদের ৬-১২ মাসের জন্য অস্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। তারা এক রুমে থাকবে, দিনে তিনবার খাবার পাবে, নিয়মিত বিনোদনের সুযোগ পাবে এবং আচরণগত স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ ব্যবস্থাপনার মতো অনসাইট স্বাস্থ্যসেবা পাবে। সেখান থেকে তারা স্থায়ী সহায়তামূলক জায়গায় পার হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই রোগীদের যত্নে ধরে রাখা এবং একটি স্বাস্থ্যকর ও স্বাধীন জীবনযাপন করার দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করা ।
এদিকে, এই নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় জরুরি কক্ষের ভিজিট, আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবহার এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সাথে সংযোগ কমার আশা করা হচ্ছে।
অ্যাডামস আরও ৯০০ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রের শয্যা এবং ১০০ পথভ্রষ্ট এবং গৃহহীন যুবক-যুবতীদের জন্য শয্যা যোগ করার ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ হোমলেস সার্ভিসেসের আউটরিচ কর্মী অ্যান্ড্রু ওয়াকার বলেন, “আমার বিশ্বাস, আমরা কম লোককে রাস্তায় বা সাবওয়েতে ঘুমাতে দেখব এবং আরো বেশি লোক তাদের প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করবে।”
এই প্রোগ্রামটি ২০২৬ অর্থবছরে শুরু হবে এবং পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু হবে।