জেবিটিভি রিপোর্ট: নিজেদের অনির্দিষ্টসংখ্যক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সংস্থাটির এসব কর্মী রিক্রুটিং ও ডাইভারসিটি নিয়ে কাজ করে থাকেন। সিআইএর সাবেক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, সিআইএর ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের অন্যতম ঘটনা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েই দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের জনশক্তিতে বৈচিত্র্যের সন্নিবেশ ঘটানো বা ডাইভারসিটির প্রচেষ্টা নিষিদ্ধ করে এমন এক নির্বাহী আদেশ সই করেন। এরপরেই সংস্থাটিতে এমন সম্ভাব্য গণছাঁটাইয়ের ওই উদ্যোগ তার এ আদেশেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার সিআইএ বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদেরও ডেকে আনেন অফিসে। পরবর্তীতে তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়। নাহলে বরখাস্তের শিকার হতে হবে বলে জানায় সিআইএ। তবে একটি ফেডারেল আদালত দ্রুতই এ পদক্ষেপ স্থগিত করেন।
জানা গেছে, কর্মীদের এভাবে গণহারে ছাঁটাইয়ে সিআইএর উদ্যোগের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়ার বিষয়ে আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারকের শুনানি করার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালতে দাখিল করা এক নথিতে সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ডাইভারসিটি নিয়োগ বন্ধে হোয়াইট হাউসের নির্বাহী আদেশ মেনে আরও কর্মী ছাঁটাই করার পদক্ষেপ নিতে পারেন।
অন্যদিকে, কর্মীদের পক্ষের একজন আইনজীবী কেভিন ক্যারল বলেছেন, ওই নথি দাখিলের ঘটনা এ ইঙ্গিতই দেয় যে বরখাস্ত করা মাত্র শুরু হয়েছে।
সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নীতিতে বদল আনতে প্রেসিডেন্টরা মাঝেমধ্যেই এ ধরনের আদেশ দিয়ে থাকেন। তবে যেসব কর্মী আগের প্রশাসনের অগ্রাধিকারমূলক কাজ নিয়ে যান, তাদের চাকরিচ্যুত করার ঘটনা বিরল।
এর আগে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিআইএর ইন্টারোগেশন প্রোগ্রাম বাতিল করেছিলেন। এ কর্মসূচি সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় নেওয়া হয়েছিল। তবে যেসব কর্মীর বিরুদ্ধে আল–কায়েদার বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল, তাদের বরখাস্ত করেননি তিনি।
সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ নিয়েছিল সিআইএ। ওই সময় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সংস্থাটিকে গোপন তৎপরতা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন।