মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন থেকে নিউইয়র্ক টাইমসসহ চারটি গণমাধ্যম কার্যালয়কে সরিয়ে দেওয়া হবে।
‘নিউ অ্যানুয়াল মিডিয়া রোটেশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক এক মেমোতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস ছাড়াও ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও, কমকাস্ট কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এনবিসি নিউজ এবং পলিটিকোকেও ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের কার্যালয় ছেড়ে দিতে হবে।
জানা গেছে, তাদের জায়গায় নিউইয়র্ক পোস্ট, ওয়ান আমেরিকা নিউজ নেটওয়ার্ক, ব্রেইটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্ক ও হাফপোস্ট নিউজকে অফিসের জায়গা দেওয়া হবে।
মেমোতে উল্লেখ করা হয়, প্রতি বছরই পালাবদল চলতে থাকবে। প্রিন্ট, অনলাইন, টিভি কিংবা রেডিও প্রতিটি ধরনের একটি করে নতুন গণমাধ্যম আগেরটির জায়গা নেবে। যে গণমাধ্যমগুলো পেন্টাগনের প্রেস কোরের সদস্য হিসাবে কাজ করার সুযোগ পায়নি, এতে করে তারা সে সুযোগ পাবে।
এনবিসি নিউজের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, পেন্টাগনের একটি সম্প্রচার বুথে আমাদের প্রবেশাধিকার না দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। আমরা বহু দশক ধরে এটি ব্যবহার করে আসছি। জাতীয় জনস্বার্থে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে এটি আমাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধা। তবে আমরা সর্বদা একই সততা এবং কঠোরতার সাথে প্রতিবেদন করা চালিয়ে যাব।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও তারা পেন্টাগনকে ‘সম্পূর্ণ ও ন্যায্যভাবে’ সংবাদ কভার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই জনস্বার্থে নয়।
ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও প্রতিরক্ষা মার্কিন বিভাগকে অফিসের জায়গা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পেন্টাগন সমস্ত মিডিয়া আউটলেট সমান সুযোগ পায়। ট্রাম্পের সিদ্ধানের পর মিডিয়াটি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত লাখ লাখ আমেরিকানের সরাসরি পেন্টাগন থেকে কথা শোনার ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করবে।
পলিটিকোর সিনিয়র ম্যানেজিং এডিটর অনিতা কুমার কর্মীদের কাছে লেখা এক নোটে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, পেন্টাগনের বাইরে দুই ডজনেরও বেশি সংবাদ সংস্থা কাজ করে। এরা মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর দৈনন্দিন কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
