Saturday, February 8, 2025

নিউইয়র্কসহ চার ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’র মেয়রদের তলব হাউয ওভারসাইট কমিটির

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, ডেনভার ও শিকাগো এই চার ‘স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি’র মেয়রদের স্বাক্ষ্য দিতে আহ্বান জানিয়েছেন হাউয ওভারসাইট কমিটির চেয়ার জেইমস কমার। মেয়রদের ১১ই ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি বা শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত শহরগুলোতে অভিবাসন আইন প্রয়োগে ফেডারেল বাহিনীকে বাধা দেয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন হাউয ওভারসাইট কমিটির চেয়ার, কেন্টাকির রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য জেইমস কমার।

এরপর কংগ্রেশনাল কমিটির সামনে স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস, বোস্টনের মেয়র মিশেল উ, শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন এবং ডেনভারের মেয়র মাইক জনস্টনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে হাউয ওভারসাইট কমিটি।

নিউ ইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের প্রেসিডেন্ট মুরাদ আওডে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোরতার মাধ্যমে দেশকে নরকে পরিণত করছে।

১১ ফেব্রুয়ারি সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে কমিটির সামনে চার শহরের মেয়রকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, শহরগুলোর অভয়ারণ্য নীতির কারণে বিপজ্জনক শরণার্থীদের আটকে বাধার মুখোমুখি হচ্ছে ফেডারেল বাহিনী। এ কারণে অ্যামেরিকানরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে।

স্যাঙ্কচুয়ারি সিটি বা স্যাঙ্কচুয়ারি স্টেইটের কোন আইনি সংজ্ঞা নেই। হাউয ওভারসাইট কমিটি জানিয়েছেসারাদেশে কয়েকশো শহর ও কাউন্টির স্যাঙ্কচুয়ারি নীতি রয়েছে। তার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটিসহ চারটি শহর বিশেষভাবে ফেডারেল আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেয়র অ্যাডামস ভেঙ্গে পড়া অভিবাসন নীতি সংস্কার করতে আগ্রহী। এ কারণে ফেডারেল বাহিনীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। বোস্টনের মেয়র মিশেল উ বলেছেন, চিঠি পাওয়ার পর গুরুত্ব সহকারে সেটির পর্যালোচনা করছেন তারা।

তিনি আরো বলেছেন, তাদের কাজ শহরের বাসিন্দাদের সুরক্ষা এবং সেবা নিশ্চিত করা।

চিঠি প্রসঙ্গে শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসনের মুখপাত্র বলেছেন, তারা হাউয ওভারসাইট কমিটির আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর সেটির আইনগত বিষয় পর্যালোচনা করছেন।

মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন কমিটির সামনে উপস্থিত থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, তারা একটি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। এই পত্রের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়।

ডেনভার শহরের মেয়র মাইক জনস্টনের অফিস এক বার্তায় জানিয়েছে, দেশের ভেঙ্গে পড়া অভিবাসন নীতি সংস্কারে রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটিকে সহযোগিতা করবেন তারা।

 

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ