ফাইনালে হেরে র‍্যাকেট ভাঙলেন সাবালাঙ্কা

0
12

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নারী এককের শেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন আরিনা সাবালাঙ্কা। সেই সঙ্গে সর্বশেষ ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন ও এই বেলারুশ কন্যা। এবারের আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার হয়ে মেলবোর্নে আসেন তিনি। প্রতিটি ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছেন। তবে ফাইনালে ধরে রাখতে পারেননি সেই ধারাবাহিকতা। ভাগ বসাতে পারেননি ১৯৯৯ সালে গড়া মার্টিনা হিন্সিসের রেকর্ডে। কেননা মার্টিনা হিঙ্গিস একমাত্র নারী টেনিস তারকা যিনি কি না পরপর তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছেন।

গতকাল মেলবোর্নের রড লেভার এরিনায় প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের সামনে ফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন সাবালাস্কা ও ম্যাডিসন কিস। তিন সেটের ম্যাচে প্রথম সেটে সাবালাঙ্কা ৩-৬ ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয় সেটে ৬-২ ব্যবধানে জিতে কিছুটা আশার আলো দেখান নিজের সমর্থকদের। তবে তৃতীয় সেটে সেই আশার আলো রূপ নেয় হতাশায়। এই বেলারুশ কন্যা কোর্ট ছাড়েন ৩-৬, ৬-২ ও ৫-৭ গেমের ব্যবধানের হার নিয়ে।

এমন হার কিছুতে মেনে নিতে পারেননি সাবালাঙ্কা। হারের পর কোর্টে আঘাত করে ভাঙেন নিজের প্রিয় র‍্যাকেট, ভেঙে পড়েন কান্নায়। এমন হারের পরও ম্যাডিসন কিসকে অভিনন্দন জানাতে ভুলেননি তিনি। এই জয়কে মধুর প্রতিশোধ বললেও ভুল কিছু বলা হবে না। কেননা ২০২৩ ইউএস ওপেনের মুখোমুখি হয়েছিলেন আরিনা সাবালাঙ্কা ও ম্যাডিসন কিস। সেই আসরে ম্যাডিসনকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সাবালাঙ্কা।

অন্যদিকে সাকালাঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছেন ২৯ বছর বয়সী ম্যাডিসন কিস। শুধু তা-ই নয়, কিসের নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপাও এটি। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা। এর আগের বছর ২০১৭ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ পাননি তিনি। অন্যদিকে ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নারী খেলোয়াড় জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী এককের শিরোপা।

গতকাল এমন কৃতিত্ব অর্জনের পর আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ম্যাডিসন কিস। তার চোখ বেয়ে পড়তে থাকে খুশির অশ্রু। ম্যাচ শেষে ক্যামেরায় তিনি লিখেন, ‘ওহ মাই গড।’ এছাড়াও ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর কান্না জড়ানো কণ্ঠে কিস বলেন, ‘আমি এতদিন ধরে এমন একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। একটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম ফাইনালে ছিলাম। আমি জানতাম না যে, আমি এই অবস্থানে থেকে শিরোপা জিততে পারব কি না। তবে আমার কোচ থেকে শুরু করে সবাই প্রতি পদক্ষেপে আমাকে বিশ্বাস জুগিয়েছিল।’

এছাড়াও গেল আসরের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরটি সত্যিই অনেক খারাপ কেটেছে। ইনজুরি সেটা আরো কঠিন করে তুলেছিল। আমি জানতাম না যে, আমি আবার এখানে ফিরতে পারব এবং ট্রফি জিতব। আমি আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি, যারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। আমাকে এই স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করেছে, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

অন্যদিকে টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরও কিসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবালাঙ্কা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছে। শুধু ম্যাডিসন দুর্দান্ত খেলেছেন এবং আমি এই ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারিনি। পরের বার আমি যখন ম্যাডিসনের বিপক্ষে খেলব, তখন আমি আরো ভালো খেলব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here