জেবি টিভি রিপোর্ট : নিউ ইয়র্কের কারাগারে পিটিয়ে কারাবন্দি রবার্ট ব্রুকস হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। সোমবার স্টেইট গভর্নর ক্যাথি হোকুলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধরা সমবেত হয়ে ওই দাবি জানান।
ম্যানহাটন ছাড়াও অলবেনিতে অসংখ্য মানুষ, সংশোধনের নামে মানুষকে অত্যাচারের এসব কারাগার বন্ধে আওয়াজ তুলেছেন।
মার্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেছেন গভর্নর। আশ্বাস দেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার। সেইসঙ্গে নতুন সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ ছাড়াও পুরো ফ্যাসিলিটিজুড়ে ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানান।
এদিকে ৪৩ বছর বয়সী ব্রুকস হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে রচেস্টারের যাজকরা আহবান জানিয়েছেন। ওদিকে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং এফবিআই রবার্ট হত্যা তদন্তে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
চলতি মাস অর্থাৎ ০৯ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কের ওনেইডা কাউন্টির মার্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে প্রহরীদের হাতেই নির্মম কিল-ঘুষি ও লাথির আঘাতের শিকার হন ৪৩ বছর বয়সী কারাবন্দি রবার্ট ব্রুকস। ২৪ ঘন্টা পার না হতেই মৃত্যুর কোল ঢলে পড়েন তিনি। গত শুক্রবার যার ভিডিও প্রকাশ করে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
এজি ল্যাটিশিয়া জেইমস নিজেই যাকে অবর্ণনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন। ভিডিওটি দেখার আগে সতর্ক হতে বলেছেন। কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি মানে যেখানে লোকজনকে সংশোধনের জন্য আনা হয়। তার যেই নমুনা দেখা গেলো, তাতে কাদেরকে আসলে সংশোধন করা প্রয়োজন সেই প্রশ্নটি সবার আগে উঠে আসে।
তাইতো সোমবার স্টেইটজুড়ে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে নিউ ইয়র্কের কারাগারে পিটিয়ে কারাবন্দি ব্রুকস হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে বরখাস্তের দাবিতে।
স্টেইট গভর্নর ক্যাথি হোকুলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধরা সমবেত হয়ে ওই দাবি জানান। নার্সসহ মোট ১৪ জন এই পুরো প্রক্রিয়া কাছ থেকে দেখেছে এবং উপভোগ করেছে। এর বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি কিংবা বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
রবার্টকে গলা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টাও করা হয়। ম্যানহাটন ছাড়াও অলবেনিতে অসংখ্য মানুষ সংশোধনের নামে মানুষকে অত্যাচারের এসব কারাগার বন্ধে আওয়াজ তুলেছেন। এদিন মার্সি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন গভর্নর। আশ্বাস দেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার।
সেইসাথে নতুন সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ ছাড়াও পুরো ফ্যাসিলিটিজুড়ে ক্যামেরা বসানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হোকুল।
এদিকে ৪৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ব্রুকস হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে রচেস্টারের যাজকরা আহবান জানিয়েছেন। ওদিকে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং এফবিআই রবার্ট হত্যা তদন্তে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
