Saturday, February 8, 2025

প্রেসিডেন্ট ইয়োলের কার্যালয়ে পুলিশ, আত্মহত্যার চেষ্টা সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : গত ৩ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন সাউথ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। চাপের মুখে পরে তা বাতিল হলেও গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে দেশটি। ইয়োলের সামরিক আইন জারির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ঘটনাটি তদন্তে বুধবার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। সামরিক আইন জারি সংক্রান্ত নথিপত্র জব্দে এ তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে তল্লাশির সময় ইয়োল সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
অপরদিকে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টায় সরাসরি জড়িত থাকার দায় মাথায় নিয়ে দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন কে বুধবার গ্রেফতার করার পর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

সামরিক আইন জারির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন দেশটির সেনা কর্মকর্তারাও। সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটিকে দেয়া বক্তব্যে দেশটির বিশেষ ওয়ারফেয়ার কমান্ডার জানিয়েছেন, সামরিক আইন জারির বিপক্ষে বিরোধী দলগুলোর ভোট দেয়া ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। সংসদের ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্যও তাকে নির্দেশ দেন ইয়োল। তবে তিনি প্রেসিডেন্টের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান।

সেনা কমান্ডার আরও জানিয়েছেন, ইয়োল সামরিক আইন জারির বৈধতার জন্য নর্থ কোরিয়ার নাম ব্যবহার করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি বিরোধী নেতাদের গ্রেফতারেরও আদেশ দিয়েছিলেন।

জিজ্ঞাসবাদ থেকে বাদ যায়নি সাউথ কোরিয়ার শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারাও। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার দিন সংসদে পুলিশের ভূমিকা তদন্তে বুধবার দেশটির ন্যাশনাল চিফ ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্রেসিডেন্ট ইয়োলের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। তার ওপর আনা অভিসংশন সংসদে পাশ না হলেও ইয়োলের নিজের ক্ষমতাসীন দলের ভেতর থেকেও তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে সাউথ কোরিয়ার ব্যর্থ সামরিক আইন জারির চেষ্টা নিয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছে নর্থ কোরিয়া। বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইয়োলকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়। পাশাপাশি অক্টোবরে ড্রোন হামলার মাধ্যমে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টার জন্য সদ্য পদত্যাগ করা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে সাউথ কোরিয়ার ড্রোন অপারেশন কমান্ডার কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ