Saturday, February 8, 2025

ট্রাম্পের জয় আতঙ্কে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : গেল ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৩০০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘২০১১-২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৪ জন ছিল। ২০২২-২০২৩ সালে সেই সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬৩ জনে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার জন স্নাতক শিক্ষার্থী বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক শিক্ষার্থীদের সপ্তম বৃহত্তম উৎস করে তুলেছে। এ সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে । তবে এসব শিক্ষাথীর অধিকা্ংশ এখন পড়াশোনাতে নেই । জীবন-জীবিকার তাগিদে পড়াশোনার উচ্চ খরচ চালাতে না পেরে এরই মধ্যে অনেকে অবৈধ হয়েছেন, অনেকে আবার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে।

আবার কোভিড-১৯ এর পর মার্কিন অর্থনীতির মন্দা কাটাতে এদেশের পর্যটন খাতকে বেগবান করতে বাংলাদেশসহ বিপুল সংখ্যক অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । এসব পর্যটকরা ঘুরতে এসেও দেশে ফেরেনি উল্টো থেকে গেছে বিভিন্ন প্রদেশে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিনই বাড়ছে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যাটা।

যুক্তরাষ্ট্রে এবারের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে এখন এসব অভিবাসীরা আতংকে পড়েছেন। বিশেষ করে, ‘আনডকুমেন্টেড (বৈধ কাগজ ছাড়া)’ যারা যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন।

দ্বিতীয় বারে প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বারবার তার নিবার্চনী প্রচারণায় স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন । তবে এবার আর প্রতিশ্রুতিতে নয় বরং কথা মতো কাজ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। যার ধারাবাহিকতায় সেনা সহায়তায় গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের পরিকল্পনা করছেন তিনি।
এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিবাসী বিতাড়নের অভিযান হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এসব অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার।

দেশে অবৈধ অভিবাসীদের প্রসঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস বরাবরই ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি অবৈধ অভিবাসীরা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন কামালা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ বাস্ত্যুচুত হয় না। ব্যক্তিগত বা পরিবারের ভরণ পোষণের জন্যই বাধ্য হয়েই এই দেশে থাকতে আশ্রয় চান তারা।

পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসী রয়েছে প্রায় ১১ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৭ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীর তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছে। ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলে মুসলিম দেশগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। এছাড়াও অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করারও পদক্ষেপ নেন তিনি।

অন্যদিকে, অভিবাসী সঙ্কটের মূল কারণ খুঁজে বের করে সেদিকে নজর দেন কামালা। পরে, গুয়েতেমালা ভ্রমণেকালে অবৈধ অভিবাসীর বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সেসময় দেশটির নাগরিকদের অ্যামেরিকায় অবৈধ ভাবে প্রবেশ না করতে সাবধান করেন হ্যারিস।

অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কামালা হ্যারিসের হাত রয়েছে বলে দাবি তোলে রিপাবলিকানরা। পরে দৈনিক অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক ছাড়িয়ে গেলে সীমান্ত বন্ধে নির্বাহি আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

 

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ