কাবেরী মৈত্রেয় : ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জনপ্রিয়তা ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এনবিসি নিউজের নতুন জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে মাত্র ২৭ শতাংশ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডোমোক্র্যাটরা ব্যর্থ বলে মনে করছেন ভোটাররা।
নভেম্বরের নির্বাচনে করুণ পরাজয়ের পর এখনো সামনে এগুনোর পথ খুঁজছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। সম্প্রতি হাউয ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের আনা স্বল্পমেয়াদি সরকারি অর্থায়ন বিলে, সেনেট ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়া নিয়ে দলের মধ্যে বিভাজন বেড়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন সেনেট মাইনোরিটি লিডার চাক শুমার।
এরই মধ্যে আরেকটি দুসংবাদ পেল দলটি। এনবিসি নিউজের নতুন জরিপ বলছে, ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জনপ্রিয়তা রেকর্ড নিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।
নিবন্ধিত ভোটারদের এক চতুর্থাংশের সামান্য বেশি মাত্র ২৭ শতাংশ বলেছেন- তারা দলটি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। যা ১৯৯০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এনবিসি নিউযের জনমত জরিপে দলের সর্বনিম্ন ইতিবাচক রেটিং। জরিপে মাত্র ৭ শতাংশ বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রতি তাদের মনোভাব খুবই ইতিবাচক। তারা চান, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আরো কঠোর লড়াই করুক ডেমোক্র্যাটরা।
নিউ ইয়র্ক স্টেইট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বাযিল স্মাইমেল বলেন, কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনেক বেশি সমঝোতা করছেন বলে মনে করছেন ভোটাররা। ভোটারদের এমন মনোভাব দলের জন্য একটি বড় সমস্যা।
স্মাইকেলের মতে, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও লড়াইয়ের জন্য এখনো তাদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক কৌশলবিদ কর্নেল বেলচার বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে দলের শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসা তরুণ এবং আফ্রিকান-অ্যামেরিকান ভোটারদের মধ্যেও সমর্থন কমছে। যা একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট ড্যাভিড ফ্রেঞ্চ মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের আরো জোরালোভাবে নিজেদের আদর্শ নিয়ে এগোতে হবে।
তবে, ডেমোক্র্যাটদের জন্য হয়তো কিছুটা আশার বার্তা নিয়ে এসেছে এনবিসি নিউজের ভিন্ন কিছু বিষয়ের ওপর জরিপ। জরিপ অনুযায়ী- ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাজকে সমর্থন করেন। ৫৫ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ট্রাম্পের ওপর অসন্তুষ্ট এবং ৫১ শতাংশ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইলন মাস্কের কর্মকাণ্ডকে নেতিবাচকভাবে দেখেন।
