joybangladesh.tv
Sunday, June 1, 2025

সিডিপ্যাপ নিয়ে গভর্নর ক্যাথি হোকুলের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত ! স্বাস্থ্য বিভাগের সতকর্তা

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিউইয়র্ক স্টেটে পিপিএলের উপর হোম কেয়ার সেবার দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। একই সাথে নিউইয়র্কবাসীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমার ডাইরেক্টেড পারসোনাল প্রোগ্রামের (সিডিপ্যাপ) হোম কেয়ার সার্ভিসে সংস্কার পরিকল্পনা ব্যথর্তার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক হেলথ প্ল্যান অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হোকুল প্রশাসনের হাতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে । কারণ স্টেটের প্রবীণ এবং হোম কেয়ার-কেন্দ্রিক সিডিপ্যাপ-এর বেতন পরিশোধ পরিষেবাগুলোর একত্রিকরণের পরিকল্পনাটি বিশৃঙ্খলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কেবল তাই নয়, ১ এপ্রিলের মধ্যে সেবা গ্রহীতাদের সিডিপ্যাপ সার্ভিস থেকে পিপিএলে স্থান্তান্তর সম্ভব না হলে অনেক সিডিপ্যাপ ভোক্তার জন্য একমাত্র বিকল্প হতে পারে হাসপাতাল বা নার্সিং হোম । তবে সেখানেও পর্যাপ্ত রোগী দেখভালের ব্যবস্থা নেই।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী নিউ ইয়র্ক স্বাস্থ্য বিভাগকে পাঠানো একটি চিঠিতে এমনটাই লিখেছে বিভিন্ন সংগঠন। হোম কেয়ার সেবায় বিপর্যয় ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত জরুরী পরিকল্পনা তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনগুলো । তাদের অভিযোগ , এই পরিবর্তনের সময়সীমা অনেক পিছিয়ে গেছে, কিন্তু এটি এপ্রিল ১-এর নির্ধারিত সময়সীমার দিকে এগিয়ে চলেছে।

এদিকে হোকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিউইয়র্ক স্টেটে হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছে এমন প্রায় ৭০০টি ক্ষুদ্র সংস্থার পরিবর্তে একক প্রতিষ্ঠান, পিপিএলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হবে।এর ফলে যারা তাদের স্বজনদের যত্ন নেওয়ার জন্য বেতন পেয়ে আসছিলেন, তারা যদি নতুন ব্যবস্থার অধীনে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাদের নার্সিং হোমে যেতে হতে পারে।

সংস্থাগুলো এও বলছে, এই সতর্কবার্তাগুলো অতিরঞ্জিত বলে মনে হতে পারে, তবুও এগুলোর গুরুত্ব রয়েছে, কারণ স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যে সংস্থাগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যে ভোক্তারা তাদের প্রাপ্য সেবা পাচ্ছেন এবং হোম কেয়ার কর্মীদের যথাযথভাবে বেতন দেওয়া হচ্ছে।

নিউ ইয়র্ক হেলথ প্ল্যান অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ , তারা পিপিএলকে শত শত মিলিয়ন ডলার অগ্রিম দিয়েছে, তবে ফেরত পাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এখন যদি এই প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমস্যায় পড়ে, তাহলে এই অর্থ পুনরুদ্ধারের খুব কম সুযোগ রয়েছে। একই সাথে সিডিপ্যাপের অধীনে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার ব্যক্তির মাত্র ১০ শতাংশ এখন পর্যন্ত নতুন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে । যদিও এপ্রিল ১-এর সময়সীমা মাত্র ৪ সপ্তাহ। আবার কল সেন্টারে ভোক্তারা ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের সাপ্তাহিক মিটিংয়ে পরিকল্পনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাদের কথা বলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, PPL থেকে পাওয়া তথ্য অপ্রতুল, যার ফলে বোঝা যাচ্ছে না যে কতজন রোগী তাদের আগের এফ-আই থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

সংস্থাগুলো বলছে, পিপিএল এরই মধ্যে নিউ জার্সিতে একই ধরনের কাজের চুক্তি হারিয়েছে, যেখানে সংস্থাগুলো এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল।

এদিকে,*স্বাস্থ্য বিভাগ (DOH) ইতিমধ্যে PPL-কে প্রায় ৪১ মিলিয়ন ডলার মিলিয়ন অগ্রিম পরিশোধ করেছের বলে জানা গেছে। যদিও PPL-এর একজন মুখপাত্র চিঠিতে উল্লেখিত বেশিরভাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন , এপ্রিল ১-এর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে।

পিপিএলের দাবি, পরিকল্পনা সংস্থাগুলো তাদের কোনো অর্থ অগ্রিম দেয়নি। তবে তারা এও স্বীকার করেছে , PPL এবং পরিকল্পনা সংস্থাগুলো ২০২৬ পর্যন্ত কেয়ারগিভারদের বেতন পরিশোধের জন্য অর্থ সরবরাহ করতে বাধ্য।

তবে, যারা এপ্রিল ১-এর মধ্যে PPL-এ রূপান্তরিত হবেন না, তারা সেবা হারাবেন কিনা—এই বিষয়ে PPL মুখপাত্র সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি, তবে বলেছেন, সিডিপ্যাপের জন্য গ্রাহকদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি ।

তবে পিপিএল এবং রাজ্য প্রশাসনের দাবি , ২০২৪ সালে এই সংস্কারের বিরুদ্ধে লবিং করতে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে।
গভর্নর হোচুলের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিউ ইয়র্কের সিডিপ্যাপ সংস্কার গ্রাহকদের সুরক্ষা দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে চলমান মেডিকেড ব্যয়ের অনিয়ন্ত্রিত প্রবাহ বন্ধ করবে।

 

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ