joybangladesh.tv
Saturday, May 31, 2025

সিডিপ্যাপ এজেন্সি থেকে পিপিএলের নিবন্ধনের ডেডলাইন ৩০ এপ্রিল

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের পরেও তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন।সোমবার নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এমনই নির্দেশ দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে হোমকেয়ার সেবায় নিয়োজিত সিডিপ্যাপ কর্মসূচির আওতায় সেবাগ্রহীতারা চেষ্টা করেও ৩১ মার্চের ভেতরে বিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল) । এরই মধ্যে হাজার হাজার সেবা গ্রহীতা ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১ এপ্রিলের স্থানান্তরের সময়সীমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

এ অবস্থায় সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত । তবে যারা উল্লিখিত সময়সীমার পরে স্থানান্তর সম্পন্ন করবেন, তারা তাদের বকেয়া অর্থ পরবর্তীতে পাবেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ ।

এদিকে, এই নিবন্ধন কর্মসূচি ৩০ দিন পিছিয়ে নেয়ার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা তাদের সেবা চলতি সিডিপ্যাপ এজেন্সি থেকে নিতে পারবেন। এমনকি যদি স্থানান্তরের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয় তারপরও।

সোমবার আলবেনিতে নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ , হোমকেয়ার সেবা চলতি সিডিপ্যাপ এজেন্সি থেকে পিপিএলে স্থানান্তরের সবশেষ অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠক পরবর্তীতে এই ঘোষণা দেয় । এই হালনাগাদের অংশ হিসেবে, বিভাগটি সিডিপ্যাপ সেবা আরো মাস খানেক চালু থাকার কথা জানিয়েছে, যা তাদের জন্য কার্যকর হবে যারা ১ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেননি।

নিউইয়র্ক স্টেটের স্বাস্থ্য কমিশনার ড. জেমস ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, ১ এপ্রিলের সময়সীমার পরে, কিন্তু ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর সম্পন্ন করা বর্তমান সিডিপ্যাপ এজেন্সি কর্মীরা ( পিএ) এপ্রিল মাসে কাজ করা ঘণ্টার জন্য বকেয়া অর্থ পাবেন ।

এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক স্টেটের স্বাস্থ্য কমিশনার ড. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেন, এই স্থানান্তরটি সবার জন্য সহজ ও নির্বিঘ্ন হোক এমনটা চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । এ অবস্থায় , ১ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে যদি কোনো সেবাগ্রহীতা ব্যর্থ হোন তাহলে চিন্তার কিছু নেই। সেবা যারা নিচ্ছেন এখনও তারা সেবা অব্যাহত রাখতে পারবেন এবং সেবাদাতারাও তাদের পারিশ্রমিক পাবেন, যদি তারা এপ্রিল মাসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। এ অবস্থায়, সিডিপ্যাপ পরিষেবা চালিয়ে যেতে চাইলে , তাহলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং পিপিএলের প্রেসিডেন্ট মারিয়া পেরিনের দাবি, এই পরিবর্তনের ফলে প্রোগ্রামটি টিকে থাকবে, তবে ৬০০টি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান থেকে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান পিপিএলে এ স্থানান্তরিত হলে সরকারের প্রশাসনিক ব্যয় কমানো হবে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ সম্প্রতি ১৮টি হোমকেয়ার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বানও জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন , বিভ্রান্তিকর, প্রতারণামূলক, বা বাধ্যতামূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কিছু এফআই এবং হোম কেয়ার এজেন্সিকে নিষেধাজ্ঞার চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্কে ১৮ হোমকেয়ারগুলোর মধ্যে এ অ্যান্ড যে হোমকেয়ার, আমা হোম কেয়ার, অল অ্যামেরিকান হোমকেয়ার এজেন্সি, অলস্টার হোমকেয়ার এজেন্সি, বাংলা এলএইচসিএসএ হোম কেয়ার ইনক্, সিএনটি হোমকেয়ার সার্ভিসেস, এলএলসি, এডিসন হেলথ হোমকেয়ার , এক্সপার্ট হোমকেয়ার ইনক্, ফ্রিডম কেয়ার এলএলসি, গোল্ডেন এইজ হোমকেয়ার, মার্কস হোমকেয়ার এজেন্সি, ম্যাক্সিম অফ নিউইয়র্ক, প্লাটিনাম হোম হেলথ কেয়ার ইনকসহ আরোও একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তবে সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা ও কর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, পিপিএল দাবি করছে যে ভোক্তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি মাত্র ২০ মিনিটেই সম্পন্ন করা যায়। একই সাথে স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ । সেবাগ্রহীতা এবং সেবাকর্মীদের মতে, এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় । তারা বলছেন, সেবাগ্রহীতারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না বা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে না। বরং পিপিএল ‌ব্যবস্থাপনার অক্ষমতা এ জন্য দায়ী ।

অভিযোগকারীরা আরো জানান, পিপিএলের যথেষ্ট কর্মী নেই, ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করছে। চেষ্টা করে সময়ের মধ্যে স্থানান্তর সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না । #######

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ