জেবি টিভি রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া বিশ্বের যেকোনো জায়গার ‘বিপজ্জনক অপরাধীদের’ নিজেদের কারাগারে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এল সালভাদর। সোমবার দেশটি এ প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মধ্য আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন মার্কো রুবিও। সফরে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর প্রতি তিনি অনুরোধ করেছেন, তারা যাতে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টায় ট্রাম্প প্রশাসনকে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পথ মসৃণ করার পাশাপাশি এ বিষয়ে ‘তৃতীয় দেশের’ সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন রুবিও। এ চুক্তির আওতায় কোনো দেশ যদি তাদের নির্বাসিত নাগরিককে গ্রহণ না করে, তবে চুক্তিভুক্ত তৃতীয় দেশ তাদের গ্রহণ করবে।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে ও দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কো রুবিও। দেশটির রাজধানীর বাইরে কোটপেক এলাকায় বুকেলের বাসভবনে তাঁদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া এল সালভাদরের নিজের নাগরিকদের গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন তাঁরা।
মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমএস-১৩, ট্রেন ডি অ্যারাগুয়ার মতো বিপজ্জনক অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সদস্য যেকোনো অবৈধ অভিবাসীকে নিজেদের কারাগারে বন্দী রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি (এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট), যাতে আমরা এসব অপরাধীকে সেখানে পাঠাতে পারি এবং তিনি সেখানকার কারাগারে তাঁদের ঠাঁই দেবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পথ মসৃণ করার পাশাপাশি এ বিষয়ে ‘তৃতীয় দেশের’ সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন রুবিও। এ চুক্তির আওতায় কোনো দেশ যদি তাদের নির্বাসিত নাগরিককে গ্রহণ না করে, তবে চুক্তিভুক্ত তৃতীয় দেশ তাঁদের গ্রহণ করবে।
বিপজ্জনক অপরাধীদের মধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সেখানকার বৈধ অধিবাসী, তাঁদেরও নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুকেলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
রুবিও বলেন, বিপজ্জনক অপরাধীদের মধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সেখানকার বৈধ অধিবাসী, তাঁদেরও নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বুকেলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। চুক্তির আরও বিশদ তথ্য সামনে আসবে বলে জানান তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট একটি নতুন ট্যাব চালু করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এল সালভাদরের কারাগারগুলোর অবস্থা ‘কঠোর ও বিপজ্জনক’।
মার্কিন নাগরিকদের আইনত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার বা বের করে দেওয়া যায় না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট একটি নতুন ট্যাব চালু করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এল সালভাদরের কারাগারগুলোর অবস্থা ‘কঠোর ও বিপজ্জনক’।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড় বন্দীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য গুরুতর হুমকি। অনেক কারাগারে স্যানিটেশন, পানীয় জল, বায়ু চলাচল, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও আলোর ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত কিংবা নেই বললেই চলে।
বুকেলে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে তার কারাব্যবস্থার একটি অংশ বাইরে করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
রুবিওর ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট বুকেলে এক্সে লেখেন, ‘পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমরা শুধু দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের (দণ্ডপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিকসহ) আমাদের বড় কারাগারে নিতে ইচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই পারিশ্রমিক তুলনামূলকভাবে কম হলেও আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হবে, যা আমাদের পুরো কারাব্যবস্থাকে টেকসই করে তুলবে।’