জেবি টিভি রিপোর্ট : সুদের উচ্চহারে গাড়ির ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে বিপাকে পড়েছেন আমেরিকার রেকর্ডসংখ্যক গাড়িচালক।
গত রোববার ফিচ রেটিংস জানায়, গাড়ির ঋণ নেয়া ক্রেতাদের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ শতাংশই সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। গাড়ি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গাড়ির ঋণের মাধ্যমে গাড়ি কেনার খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা আলেহান্দ্রা গ্রাহিওলা দুই বছর আগে ৬০ হাজার ডলারে বিদ্যুৎচালিত এসইউভি কেনেন। দুই বছর পরও মাসে প্রায় এক হাজার ডলার পর্যন্ত মাসিক কিস্তি দিতে হচ্ছে তাকে। দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ মেটানোর পর গাড়ির ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান গ্রাহিওলা।
গাড়ি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গাড়ির ঋণের কঠিন শর্তে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। এডমুন্ড কারসের কর্মকর্তা জেসিকা কাল্ডওয়েল জানান, ঋণের মাধ্যমে গাড়ি কেনার খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। ঋণ পরিশোধের মাঝপর্যায়ে এসে অনেক ক্রেতাই হতাশ হয়ে পরেন জানিয়ে তিনি বলেন, দুই বছর আগে কেনা গাড়ির বাজারমূল্য একইরকম না থাকলেও ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোন ধরণের ছাড় পান না ক্রেতারা।
এদিকে ফিচ রেটিংস জানায়, দেশের মোট গাড়ির ঋণ নেয়া ক্রেতাদের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ শতাংশই সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। তারা জানায়, গাড়ির ঋণে সুদের উচ্চহারের কারণে তা সময়মতো পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন অনেক ক্রেতা।
জেসিকা কাল্ডওয়েল বলেন, গাড়ির ঋন নেয়া অনেক ক্রেতাই প্রথম গাড়ির লোন পুরোপুরি শোধ না করেই দ্বিতীয়বার লোনের কথা চিন্তা করছেন। এতে গাড়ি বিক্রির হার কিছুটা বাড়লেও ক্রেতাদের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
গাড়ির ঋন নেয়া আলেহান্দ্রা গ্রাহিওলা জানান, দুই বছর ধরে কিস্তি পরিশোধ করার পরও স্বস্তি পাচ্ছেন না তিনি। গাড়ির ঋণে সুদের হার কমানোর দাবিও জানান তিনি।
