জেবি টিভি রিপোর্ট : ব্রঙ্কস, নিউ ইয়র্ক সিটির অন্যতম প্রাণবন্ত একটি বরো। বৈচিত্রময় সংস্কৃতি এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনের জন্যও পরিচিতি আছে এই বরোর। হিপ-হপের জন্মস্থান ব্রঙ্কস। বেইজবল দল নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের হোম গ্রাউন্ড ‘ইয়াঙ্কি স্টেডিয়াম’-এর অবস্থানও এখানে। সব মিলিয়ে ব্রঙ্কসকে আমেরিকার সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় জায়গা বললেও, বেশি বলা হবে না। তাই যারা অ্যামেরিকা সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য ব্রঙ্কস ভ্রমণ ভীষণ জরুরি।
যাদুকরী সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যের এক অভিনব সম্মিলন- ব্রঙ্কস বরো । এইখানে বেড়ে উঠেছেন বিশ্ববিখ্যাত অনেক বরেণ্য মানুষ। মারভেলের জনক স্ট্যান লি, সঙ্গীত শিল্পী জেনিফার লোপেজ, অভিনেতা এল পাচিনো, ট্রেসি মরগান, বিলিওনেয়ার ব্যবসায়ী রাফ লরেনসহ অনেকের নামই আসতে পারে এই তালিকায়।
ব্রঙ্কসের রাস্তায় ১৫ বছর ধরে হেঁটে চলেছেন, দ্য নিউ ইয়র্কারের লেখক ইয়ান ফ্রেইযার। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি লিখেছেন, প্যারাডাইস ব্রঙ্কস নামের এক বই। ফ্রেইযার জানান এই অঞ্চলের নামকরণের ইতিহাস।
তিনি আরও জানান, ১৯৭০-এর দশকে টাকা বাঁচাতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো শহরের ফায়ার ষ্টেশনগুলো। এতে, এক দশকে ব্রঙ্কসে প্রায় ৩৩ হাজার আগুনের ঘটনায় পুড়ে যায় ব্লকের পর ব্লক।
তবে সেই আগুনের ক্ষত কাটিয়ে, বর্তমানে দারুণ এক কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে ব্রঙ্কস। বরোর প্রেসিডেন্ট ভেনেসা গিবসন জানান, বারবার ঘুরে দাঁড়ানো কমিউনিটি হিসেবে অ্যামেরিকার ইতিহাসে ব্রঙ্কস অনন্য।
হিপ-হপের জন্মস্থান ব্রঙ্কসের স্নিকার চেইন স্টোরের মালিক ও বিখ্যাত র্যাপার ফ্যাট জো বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে এই কমিউনিটি।’
এছাড়া, অ্যামেরিকার খেলাধুলার তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ব্রঙ্কসে আছে, বিখ্যাত বেইজবল দল ‘নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের’ হোম গ্রাউন্ড ‘ইয়াঙ্কি স্টেডিয়াম’। একই মাঠ ভাগ করে নেয় সকার ক্লাব ‘নিউ ইয়র্ক সিটি এফসি’।
অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট ও লেখক নিল ডিগ্রাস টাইসনও ব্রঙ্কসের বাসিন্দা। বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি, চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে মহাজাগতিক রহস্য সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য। টাইসন জানান, তার কাছে ব্রঙ্কস একটি ক্ষুদে-বিশ্বের মতোই।