কাজী জহিরুল ইসলাম : বাহার ভাই খুব সৌভাগ্যবান মানুষ। তিনি প্রাইজবন্ডের প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। তাও একবার নয়, দুবার। আর ছোটোখাটো পুরস্কার তো পেয়েছেন বহুবার। মেধাবী ছাত্র ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে স্ট্যান্ড করেছেন। মেডিকেলে পড়েছেন। বিসিএস দিয়ে মেডিকেল অফিসার হয়েছেন। পরে যোগ দেন পুলিশ সার্ভিসে। অসম্ভব বিনয়ী, সৎ এবং প্রফেশন্যাল অফিসার। এমন মানুষ ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যাবেন এই প্রত্যাশা তিনি যেমন করতে পারেন, আমরাও করতে পারি। কিন্তু তা ঘটেনি।
আমি যখন ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে একটি অস্থায়ী পোস্টিং নিয়ে জাতিসংঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে আসি বাহার ভাই তখন এখানে কাজ করেন। পুলিশের পোশাক খুলে সিভিল পোশাকের একজন কর্মকর্তা। এখানে আসার আগে তিনি ছিলেন ডিআইজি। জাতিসংঘে বাহার ভাই কাজ করছিলেন পলিটিক্যাল এফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ইউনিফর্মড পার্সোনালিটি শাখায়। আমার আরেক বন্ধু লে. কর্নেল তোফায়েল আহমেদও (পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়ে অবসরে যান) তখন সেকেন্ডমেন্টে জাতিসংঘ সদর দফতরে কাজ করছিলেন।
আমরা তিনজন প্রতিদিন দুপুরে একসঙ্গে লাঞ্চে যেতাম। ম্যানহাটনের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ঘুরে ঘুরে খেতাম। মাঝে-মধ্যে তোফায়েল ভাই মিস করলেও বাহার ভাই আর আমি কখনোই মিস করতাম না। বাহার ভাই যেহেতু নিজেই জানতেন তিনি একজন সৌভাগ্যবান মানুষ তাই লটারির টিকিট কেনার প্রতি তার একটা ঝোঁক ছিল।
একদিন লাঞ্চ থেকে ফেরার পথে একটি দোকানের সামনে আমরা থমকে দাঁড়াই। ওটা ছিল লটোর দোকান। বাহার ভাই বলেন, কাজী ভাই, চলেন লটারির টিকিট কিনি। আমি নিমরাজি থাকলেও দোকানে ঢুকি এবং দুজন কিছু স্ক্রাচকার্ড কিনি। দশ ডলারের স্ক্রাচ কার্ড ঘষে আমি বিশ ডলার পাই, সেই বিশ ডলার দিয়ে আবার কার্ড কিনি, এবার পাই মাত্র দুই ডলার। বাহার ভাই সেদিন কিছুই পাননি। এরপর আম