জেবি টিভি রিপোর্ট : নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটদের ‘পুলিশ-বিরোধী আন্দোলন’ সমর্থনকে তীব্র সমালোচনা করেছেন সিটি মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমো । একই সাথে, গেল কয়েক বছর ধরে নিউইয়র্ক সিটিতে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে তার বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে বলেও মনে করেন তিনি।
সোমবার, কুওমো দ্য স্টিফেন এ. স্মিথ শো-তে উপস্থিত হয়ে নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান সংকটে থাকা মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি জানান, স্টেট গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগের পর বেশ কয়েক বছর পরিবারের সাথে বেশ ভাল সময় কাটিয়েছে তিনি । কিন্তু নিউইয়র্ক সিটিতে যা ঘটছে তা নিয়ে উদ্বিগ্নতা বাড়ছে । কুওমো বলেন, অবশ্য শুধু নিউইয়র্ক সিটি নয়, আমেরিকার অনেক শহরেই এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু নিউইয়র্ক সিটির অবস্থা সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলছে। বলেন, হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (HUD) সচিব থাকার কারনে তিনি নিউইয়র্ক সিটি সর্ম্পকে বেশ অবগত।
কুওমোর দাবি , কোভিড পরবর্তী সময়ে মানুষ যেকোনো জায়গায় থাকতে পারে । তাদের শহরেই থাকতে হবে, এমন নয়। এটা আর আগের মতো নয়, যখন মানুষ বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে হতো। এখন তারা স্থান পরিবর্তন করতে পারে, রিমোট কাজ করতে পারে, জুম মিটিং করতে পারে। যদি কেউ বাড়িতে বসে কাজ করতে পারে, তাহলে হয়তো সে উত্তর ক্যারোলিনায় চলে যেতে পারে, ফ্লোরিডায় যেতে পারে, বা কলোরাডোতে যেতে পারে। তাই পরিস্থিতি বদলে গেছে, আর তার সঙ্গে সঙ্গে নিউইয়র্ক সিটিতে জীবনযাত্রার মানও ব্যাপকভাবে অবনতি হয়েছে। এখানে থাকতে প্রচুর কর দিতে হয়। বলেন, নিউইয়র্কের জন্য এটা একটা খারাপ পরিস্থিতি, এবং এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন দরকার।
অবশ্য তিনি এই অবনতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো পুলিশের তহবিল কমানোর জন্য বামপন্থী আন্দোলন।
তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এটা নিয়ে ভাবা এবং আত্মবিশ্লেষণ করা দরকার । আমাদের আগের চেয়ে কয়েক হাজার কম পুলিশ রয়েছে। এর একটা প্রভাব তো থাকবেই। আপনি পুলিশের সংখ্যা কমালে, তখন অপরাধ বাড়বে এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। আপনি পুলিশের সংখ্যা কমালে, মানুষ সাবওয়েতে যেতে ভয় পাবে, কারণ অপরাধের হার বেড়ে গেছে।
এদিকে, নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর কুওমো শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দেন এবং নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। কুওমো ২০২১ সালে গভর্নরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যখন তদন্তে দেখা যায় যে তিনি কমপক্ষে ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন। তার পর বর্তমান গভর্নর ক্যাথি হোকুল তার স্থলাভিষিক্ত হন।