Friday, February 7, 2025

বাংলাদেশের ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে’ সীমান্তে বিএসএফের বাড়তি মহড়া

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : বাংলাদেশের ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির’ কথা মাথায় রেখে দুই দেশের মধ্যবর্তী সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) মহড়া অভিযান চালাবে। এই মহড়াকে বলা হচ্ছে ‘অপস অ্যালার্ট’ বা ‘অপারেশনস অ্যালার্ট’। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিএসএফের পূর্বাঞ্চলের কমান্ডের সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসএফের (ইস্টার্ন কমান্ড) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অপস অ্যালার্ট শুরু করার কথা ভাবা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের সব স্থানে, যেখানে মাঠপর্যায়ে বাহিনী (ফিল্ড ফর্মেশন) রয়েছে, সেখানেই এ মহড়া হবে। বাড়তি নিরাপত্তার লক্ষ্যে এবং সীমান্তের তল্লাশিচৌকিগুলো আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এটি চালানো হবে।

গত বুধবার এই অপস অ্যালার্ট শুরু হয়েছে এবং তা চলবে জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এই অভিযানে কী থাকবে, তা–ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, ‘এই সময়কালে বিভিন্ন ধরনের কসরত করা হবে, নজরদারি চালানো হবে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কর্তব্য (ডমিনেশন ডিউটি) জোরদার করা হবে।’

ওই বিজ্ঞপ্তির অন্য একটি অনুচ্ছেদে অপস অ্যালার্ট সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, অপস অ্যালার্ট অনুশীলনের সময়ে সেনারা বিভিন্ন ধরনের গভীর নিরাপত্তাবিষয়ক মহড়া করবেন এবং অগ্রবর্তী এলাকায়ও (ফরওয়ার্ড এরিয়া) তা করা হবে। এ ছাড়া সীমান্তে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অভিযানকে পদ্ধতিগত বৈধতা দেওয়া হবে। সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) রবি গান্ধীসহ অন্য কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে দিবারাত্রির এই কসরত খতিয়ে দেখেছেন এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চল তাঁরা ভবিষ্যতে পরিদর্শন করবেন।

ওই সব অঞ্চলে ‘অভিযানগত প্রস্তুতি’ কী পর্যায় রয়েছে তা দেখার জন্য কর্মকর্তারা অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া বিএসএফের ‘কৌশলগত রক্ষী মোতায়নের’ বিষয়টিও তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। রবি গান্ধী ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ের বাহিনীকে প্রহরা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বাহিনীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে বলেছেন, যেসব অঞ্চলে বেড়া নেই সেসব অঞ্চলে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে নদীকেন্দ্রিক সীমান্তেও সতর্ক থাকতে হবে বলে বিএসএফের এডিজি বার্তা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ