জেবি টিভি রিপোর্ট : নিজের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সোমবার ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শিক্ষার্থী ইউসেন চাং। তিনি অভিযোগ করেন, প্যালেস্টাইনপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অন্যান্য শিক্ষার্থী ও কর্মীদের বিরুদ্ধে একই কৌশল ব্যবহার করছে প্রশাসন। একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হবার পরও তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন চাং।
নিজের বহিস্কার আদেশ এবং গ্রেপ্তার ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধের মামলা করেছেন সাউথ কোরিয়ান বংশদ্ভুত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইউসেন চাং। সোমবার ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে মামলা করেন চাং। তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ মার্চ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট তাকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেয়।
মামলায় চাং উল্লেখ করেন, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় তাকে একবার আটক করা হয়। কিন্তু ছাড়া পাবার কিছুদিন পরই আইস কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং দেশ থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে আটক করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। অথচ তিনি এই দেশের একজন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা।
২১ বছর বয়সি চাং সাত বছর বয়সে সাউথ কোরিয়া থেকে বাবা-মায়ের সাথে অ্যামেরিকায় পাড়ি জমান। প্যালেস্টাইনের স্বপক্ষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারী অ-নাগরিকদের বহিষ্কারে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম বন্ধে আদালতের আদেশ চেয়েছেন চাং। এছাড়াও মামলা চলাকালীন প্রশাসন যেন তাকে দেশ থেকে বিতাড়ন বা আটক না করে, সেই ব্যাপারেও বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যালেস্টাইনপন্থি বিদেশী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসপন্থি, ইহুদিবিরোধী ও অ্যামেরিকাবিরোধী বলে অভিযুক্ত করে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কলাম্বিয়াসহ দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মীরা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন বলে দাবি করেন।
