জেবি টিভি রিপোর্ট : নিউ ইয়র্ক সিটির নতুন কম্পোস্টিং নিয়ম অমান্য করার অভিযোগে প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ২ হাজার টি টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভবনের মালিকদের জৈব বর্জ্য আলাদা করে ফেলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
যদিও নিয়মটি গত অক্টোবর থেকে কার্যকর ছিল, শুরুতে স্যানিটেশন বিভাগ শুধু লিখিত সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তবে ১ এপ্রিল থেকে তারা জরিমানা করা শুরু করে, যেখানে প্রতি লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা শুরু হচ্ছে ২৫ ডলার থেকে। প্রথম সাত দিনে মোট ১,৮৮৫টি সমন ইস্যু করেছে স্যানিটেশন বিভাগ।
স্যানিটেশন বিভাগের মুখপাত্র জোশুয়া গুডম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, আগের প্রশাসনগুলো কম্পোস্টিং নিয়ে অনেক কথা বলেছে, কিন্তু কেউই সাহস করে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বছরের পর বছর নিউ ইয়র্কবাসী এমন একটি কার্বসাইড কম্পোস্টিং প্রোগ্রাম চেয়ে এসেছে যা সহজ, ধারাবাহিক এবং জটিলতা ছাড়াই চলে।”
গুডম্যান জানান, এই অভিযান ইতিমধ্যেই বেশি সংখ্যক মানুষকে কম্পোস্টিং করতে উৎসাহিত করেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শহরটি ২৫ লাখ পাউন্ড জৈব বর্জ্য সংগ্রহ করেছে এর মধ্যে রয়েছে উদ্যানের আবর্জনা থেকে শুরু করে পিৎজার পাঁয়ের অংশ পর্যন্ত। গত বছর একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল প্রায় ৭.৩ লাখ পাউন্ড, যদিও তখনও পুরো পাঁচটি বরোতে প্রোগ্রামটি চালু হয়নি।
তবে এখনো অনেক পথ বাকি। কিছু এলাকায় এখনো কম্পোস্টিংয়ে অংশগ্রহণের হার কম, এবং আবাসিক কম্পোস্টিং হার এখনও মাত্র ৫ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
তুলনামূলকভাবে, শহরের স্যানিটেশন বিভাগ বলছে, নিউ ইয়র্কবাসীরা তাদের প্রায় ৪৪% পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য আবর্জনা থেকে আলাদা করে। পুনর্ব্যবহার না করার জন্য বিভাগটি প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় ১,০০০ টিকিট ইস্যু করে।
গুডম্যান বলেন, এই কম্পোস্টিং প্রোগ্রামটি সহজে ব্যবহারযোগ্যভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং মার্চের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪০,০০০টির বেশি কম্পোস্টিং বিনের অর্ডার পড়েছে।
মেয়র এরিক অ্যাডামস গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুধু জরিমানা করে মানুষকে উৎসাহিত করতে চাই না; আমরা চাই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রোগ্রামে অংশ নিক এবং সঠিকভাবে তা পালন করুক।”
এই সার্বজনীন কম্পোস্টিং নির্দেশনা শহরের প্রতিটি বাসিন্দার জন্য কার্বসাইড জৈব বর্জ্য সংগ্রহ চালুর পর চালু হয়েছে। পূর্ববর্তী মেয়রদের সময়ে এটি শুধু নির্দিষ্ট কিছু পাড়ায় চালু ছিল।