কাবেরী মৈত্রেয় : নিউইয়র্কে যদি কোনো চালক অস্পষ্ট নাম্বার প্লেটসহ ধরা পড়েন, তবে তাকে ৫০ ডলার জরিমানা গুণতে হতে পারে। টোল ফাঁকি দেওয়া রোধ এবং রাস্তার নিরাপত্তা বাড়াাতে গেলো জানুয়ারীতে জানানো হয় শিগগিরি এই আইন নিউইয়র্কেের রাস্তায় বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে । শেষমেষ আসছে ১৬ এপ্রিল থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে নতুন নাম্বার প্লেটের নিয়ম কার্যকর হবে।
পরিবহন অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিটি এবং স্টেটের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে চালকদের টোল, ট্রাফিক লাইট ও স্পিড ক্যামেরার ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্লেট পরিবর্তন বা আড়াল করা ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। ট্রাফিক লাইট ও স্পিড ক্যামেরার ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্লেট পরিবর্তনের কারনে সিটি এরই মধ্যে কয়েক কোটি ডলারের রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়েছে। নতুন কঠোর ব্যবস্থা এমন এক সময়ে আসছে, যখন কংজেশন প্রাইসিং (যানজট নিরসনে টোল ব্যবস্থা) চালু হয়েছে, যা ট্রানজিট সংস্কারের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা এস. টিশ এক বিবৃতিতে বলেন, এই নতুন নিয়ম আমাদের এই সমস্যার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে এবং আমাদের রাস্তাকে সকলের জন্য নিরাপদ করে তুলবে ।
এদিকে, নতুন নিয়ম অনুসারে, নাম্বার প্লেট সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হতে হবে এবং মাটির ১২ থেকে ৪৮ ইঞ্চির মধ্যে স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও, প্লেট কভার, বিকৃত বা ভুয়া প্লেট স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আপডেট করা নিয়মে অবৈধভাবে আচ্ছাদিত প্লেটের সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত করা হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে “ময়লা, মরিচা, কাচ বা প্লাস্টিকের কভারিং, যেকোনো ধরনের পদার্থ বা উপাদান” যা প্লেটকে পড়ার অযোগ্য করে তোলে, তা নিষিদ্ধ।
যদি কোনো পার্ক করা বা ইঞ্জিন চালু অবস্থায় থাকা গাড়িতে আচ্ছাদিত প্লেট পাওয়া যায়, তবে চালককে ৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। এছাড়া, গত বছর পাস হওয়া একটি স্টেটের ট্রাফিক আইন অনুসারে, একই অপরাধের জন্য ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিটিজেনস বাজেট কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চালকদের টোল, ট্রাফিক লাইট ও স্পিড ক্যামেরার ফাঁকি দেওয়ার কারণে শহর ১০০ মিলিয়নেরও বেশি রাজস্ব হারিয়েছে। মেয়র এরিক অ্যাডামস “ঘোস্ট কার”—ভুয়া বা আচ্ছাদিত প্লেটযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৭৩,০০০-এর বেশি “ঘোস্ট কার” ও অনিবন্ধিত যানবাহন আটক করা হয়েছে।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল বেপরোয়া চালকদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এবং সেইসঙ্গে যে রাজস্ব হারানো হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করে গণপরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা।