জেবি টিভি রিপোর্ট : ২০২২ সাল থেকে নথিপত্র বিহীন অভিবাসীদের বিশাল ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি। বিপুল সংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর থাকার ও খাবারের জন্য এরই মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে সিটি ।
অবৈধ অধিবাসীদের বিতাড়িত করতে এরই মধ্যে কঠোর নীতির ঘোষণা দিয়েছে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিউ ইয়র্ক সিটির স্যাংচুয়ারি নীতি অনুয়ায়ী এ নীতি বাস্তবায়ন সহসায় সম্ভব হবে কি না সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা , নিউইয়র্কে সিটি অভিবাসী সংক্রান্ত সিটি আইনের সাথে ফেডারেল আইনের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর।
এমন অবস্থায়, মেয়র এরিক অ্যাডামস এবার এই স্যাংচুয়ারি নীতির পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরিক অ্যাডামস সিটি কাউন্সিলকে বাইপাস করার উপায় খুঁজছেন, যাতে তিনি সিটির অভিবাসী “সাংকটুরি সিটি” নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন।
তিনি বলছেন, সিটি কাউন্সিল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সাংকটুরি সিটি আইনে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী নয় । এ সিদ্ধান্তে থাকলে ভুল হবে বলেও মনে করছেন তিনি। তবে মেয়র তার টিমকে নির্দেশ দিয়েছে এরই মধ্যে নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী ক্ষমতা খতিয়ে দেখতে। তিনি বলেন, মেয়রের কি সেই ক্ষমতা আছে? আমার কাজ সিটির জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া।
এদিকে, সাংকটুরি সিটি নীতির বিষয়ে সাম্প্রতিক দ্বিধার আগে অ্যাডামস ঐ নীতিকে সমর্থন করছিলেন। তবে, কুইন্স কাউন্সিলম্যান রবার্ট হোল্ডেন বলেন, কঠিন কথা ভালো, তবে কাজই আসল। মেয়রের চার্টার রিভিশন কমিশনের মাধ্যমে সাংকটুরি সিটি আইনে পরিবর্তন বা বাতিল করার সুযোগ ছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি। এখন এই ভুলগুলো শোধরানোর সময়।
উল্লেখ নিউইয়র্ক সিটির তথ্য মতে, এ সিটি বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য একটি বড় অভয়রান্যে পরিণত হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, সিটিতে সবমিলিয়ে ৭ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন। এর মধ্যে অন্তত ৫৮ হাজার ৬২৬ জনের বিরুদ্ধে তাদের নিজ দেশে অথবা যুক্তরাষ্টে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫৩ জনকে কুখ্যাত গ্যাং সদস্য হিসেবে চিহ্নিত বা সন্দেহ করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক সিটির স্যাংচুয়ারি নীতি অনুযায়ী, এই স্থানীয় প্রশাসন এবং ফেডারেল সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সীমিত হয়ে পড়েছে, শহরের জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
এরই মধ্যে সিটি হল মুখপাত্র বলেছেন, অ্যাডামস যদি অভিবাসী নীতি উল্টে দেন, তবে তা আইন ভঙ্গের শামিল হবে, কারণ এই বিষয়ে ক্ষমতা শুধুমাত্র কাউন্সিলের।
অ্যাডামস ক্রেমারকে বলেন, “আমি কর্পোরেশন কাউন্সেলকে বলেছি, আমার বিকল্প কী আছে তা দিন। আমি জানতে চাই আমার ক্ষমতা কী। আমি দেখতে চাই, যারা আমাদের শহরে গুরুতর সহিংস অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কী করতে পারি।”