চট্টগ্রাম পর্বে ব্যাটিংয়ের গতি কিছুটা কমেছে, যা দেখা গেল ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে চিটাগং কিংসের ইনিংসে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করেছে। হাতে উইকেট রেখেও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
গত ম্যাচে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন নাঈম ইসলাম। তবে ঢাকার বিপক্ষে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি চিটাগংয়ের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের শুরুটা ধীরগতির ছিল। ওপেনার নাঈম ইসলাম ও আফগান ব্যাটার জুবায়েদ আকবরি মিলে ৪০ রানের জুটি গড়েন। তবে অষ্টম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে আকবরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। ১৯ বলে ২৩ রান করেন তিনি।
প্রথম উইকেট হারানোর পর নাঈম ইসলাম ও গ্রাহাম ক্লার্ক মিলে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৩তম ওভারে টানা দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চিটাগং। ১৯ বলে ১৮ রান করা ক্লার্ক অপু’র ফ্লাইট ডেলিভারিতে লং অফে ক্যাচ তুলে দেন। ঠিক পরের বলেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফেরেন হুসাইন তালাত, মাত্র ২ রান করে।
পরের ওভারে দলের অন্যতম ভরসা নাঈম ইসলামও বিদায় নেন। মোসাদ্দেকের অফ স্টাম্প লক্ষ্য করে করা ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ৪০ বলে ৪৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাঈমের আউটের পর ১৪.২ ওভারে দলীয় শতরান স্পর্শ করে চিটাগং।
মারমুখী ব্যাটিং করতে পারেননি শামিম হোসেনও। ১৬ বলে ১৫ রান করে বেটনের শিকার হন তিনি। পাকিস্তানি রিক্রুট হায়দার আলি করেন ১১ বলে ১৬ রান, তাকে ফেরান মেহেদী রানা।
শেষদিকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৮ বলে ১২ রান এবং খালেদ আহমেদ ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। নাজমুলও ৩ ওভারে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া বেটন ও মেহেদী রানা একটি করে উইকেট তুলে নেন।