Saturday, February 8, 2025

ট্রাম্পের নীতির প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফেডের চূড়ান্ত লড়াই

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : ট্রাম্প ফেডারেলের উপর সুদের হার কমানোর দাবি করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী সুদের হার কমানোর আহ্বান জানিয়ে সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব‍্য রেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদের হার ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এর মধ্যে স্থিতিশীল রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলো কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই অভিবাসন সীমিত করা এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানির উপর শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে ফেডারেলের কাজকে জটিল করে তুলেছেন। তবে তাঁর প্রথম মেয়াদে ফেডারেলের উপর এ ধরনের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা সত্ত্বেও এর সামান্যই প্রভাব দেখা গিয়েছিল। ফেডারেল চেয়ার জেরোম পাওয়েল এবং তাঁর দলকে এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তাদের ঠিক করতে হবে, এই অনিশ্চয়তাগুলো মুদ্রানীতির সিদ্ধান্তে কতটা প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জনগণকে কতটা স্পষ্ট ধারণা দেওয়া উচিত।

ফেডারেলের প্রাক্তন শীর্ষ কর্মী এবং বর্তমানে বিএনওয়াই ইনভেস্টমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ভিনসেন্ট রেইনহার্ট বলেছেন, ‘ফেডারেল যদি খুব বেশি এগিয়ে যায়, তবে তা রাজনৈতিক বলে মনে হতে পারে। আবার খুব বেশি সংযত থাকলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে, বিশেষত যখন আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়তে পারে বা শ্রমবাজারে কর্মীর সংখ্যা কমতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেডারেলের নির্দেশনা মূলত ভবিষ্যৎ পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করে, আর বর্তমানে প্রতিটি পূর্বাভাস রাজনৈতিক অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। একটি স্বাধীন সংস্থার জন্য এটি কঠিন কাজ। আপনি মুদ্রানীতি এই ধারণার উপর নির্ভর করে চালাতে পারবেন না যে বছরের শেষ নাগাদ শুল্ক বা কর আইন প্রণয়ন হবে। বর্তমানে অনেক কিছুই অনিশ্চিত।’

ফেডারেলের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জনসাধারণকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দেওয়া। আগামী কয়েক মাসে ট্রাম্পের নীতিমালা কত দ্রুত এবং কোন দিক থেকে কার্যকর হবে, তা ফেডারেলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ফেড বর্তমানে আশা করছে, এটি হবে ২০২২ সালে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের শেষ ধাপ।

গত বছর ফেড সুদের হার এক শতাংশ পয়েন্ট কমিয়েছে। এবার ফেডের নীতিনির্ধারকরা মঙ্গলবার ও বুধবার (জানুয়ারি ২৮ ও ২৯) বৈঠকে বসতে চলেছেন, যেখানে সুদের হার ৪.২৫%-৪.৫০% এর মধ্যে রাখার সম্ভাবনা বেশি। গত ১৭-১৮ ডিসেম্বরের বৈঠকের পর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফেডারেল কর্মকর্তাদের মতে, মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতিতে হলেও স্থিরভাবে ২ শতাংশ লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হবে। একইসঙ্গে বেকারত্বের হার নিন্ম থাকবে এবং কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ