জেবি টিভি রিপোর্ট : গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ কার কাছে থাকবে সে বিষয়ে জনগণের কাছ থেকে মতামত চেয়ে গণভোট আয়োজন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির পার্লামেন্টারিয়ান কুনো ফেংকার। মঙ্গলবার সিএনএন-কে একথা জানান তিনি।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছা প্রকাশের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিকে তার ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সফর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে গ্রিনল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশের পর এক্সে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ট্রাম্প জুনিয়র।
গ্রিনল্যান্ডের নুক বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে কয়েকঘণ্টার সফরে এসেছেন তিনি।’
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কোন নির্দেশনা আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাবা গ্রিনল্যান্ডের সব বাসিন্দাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
এদিকে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্প জুনিয়রের গ্রিনল্যান্ড ভ্রমণকে অনানুষ্ঠানিক সফর বলে বিবৃতি দিয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্টারিয়ান কুনো ফেংকার জানান, ভ্রমনকারী হিসেবে ট্রাম্প জুনিয়র এবং তার বাবা অ্যামেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডে আসতেই পারেন। ভবিষ্যতে তারা অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিনল্যান্ড সফর করবেন বলেও আশা করেন তিনি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহনের ইচ্ছা নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হয় নি জানিয়ে ফেংকার বলেন, ‘ভূরাজনীতিতে অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডার জন্য গ্রিনল্যান্ড গুরুত্বপূর্ন হলেও এখানকার জনগণের ইচ্ছার বাইরে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেনমার্ক এবং অ্যামেরিকার সাথে আলোচনার সুযোগ আছে জানিয়ে ফেংকার বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে এমন মিত্রদের সাথে আলোচনায় বাধা নেই।’
১৯৫৩ সাল থেকে ডেনিশ রাজপরিবারের ইতিহাসের সাথে গ্রিনল্যান্ড সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি জানান, সেখানকার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জনগণের মতামত জানতে প্রয়োজনে গণভোট আয়োজন করা হবে।
এদিকে গ্রিনল্যান্ডকে কেন্দ্র করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অহেতুক কথাবার্তা বলছেন বলে সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাটিক কৌশলবিদ রিচার্ড গুডস্টেইন।
তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অ্যামেরিকার নীতি সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। চাইলেই কোন দেশের একটি অংশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।’
রাশিয়া, চায়না, নর্থ কোরিয়ার মতো একনায়কতান্ত্রিক দেশগুলোকে আদর্শ হিসেবে দেখিয়ে গনতন্ত্রমনা মিত্রদেশগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ট্রাম্পের পুরোনো অভ্যাস বলেও দাবি করেন গুডস্টেইন। বিশ্বনেতারা ট্রাম্পের উদ্ভট আচরণ নিয়ে পর্দার আড়ালে ঠাট্টা করেন বলেও জানান তিনি।