জেবি টিভি রিপোর্ট : গাড়ি এবং ওষুধ আমদানিতেও শিগগিরই শুল্ক আরোপ করা হবে বলে, জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউযে ক্যাবিনেট বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। পাশাপাশি, ভেনেযুয়েলা থেকে তেল-গ্যাস কেনা সব দেশের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, সুদের কমানোর জন্য ফেডারেল রিযার্ভকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, ট্রাম্প আরো জানান- ইউক্রেইনের সঙ্গে শিগগিরই খনিজো সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি সই করতে যাচ্ছে অ্যামেরিকা।
বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ আরো বাড়িয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউযে ক্যাবিনেট বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি যা করছেন তা দেশের ভালোর জন্যই করছেন।
প্রেসিডেন্ট দাবি করেন- তার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, ফেডারেল সরকার প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে যাচ্ছে।
ট্রাম্প জানান, শিগগিরই দেশে গাড়ি ও ওষুধ আমদানির ওপর শুল্ক ঘোষণা করবেন তিনি।
যুদ্ধ বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে এসব পণ্য প্রয়োজন হবে বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প আরো জানান, অদূর ভবিষ্যতে কাঠ এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে।
ভেনেযুয়েলার কাছ থেকে গ্যাস ও জ্বালানি তেল কেনা সব দেশের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্ধু এবং শত্রু সব দেশই অ্যামেরিকাকে ঠকিয়েছে।
ট্রাম্প দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে তার প্রশাসন। ফেডারেল রিযার্ভ সুদের হার কমাবে বলে প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন ট্রাম্প। ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করা অ্যামেরিকার প্রতিনিধি দল রাশিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, টাইম ম্যাগাযিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকির করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন- তাঁর প্রশাসনের লক্ষ্য হলো শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি জানান, ইউক্রেইনের সঙ্গে খনিজো সম্পদ বিষয়ক চুক্তির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, অ্যামেরিকা এতোদিন ইউক্রেইনে অন্যায্যভাবে শুধু অর্থ ঢালছিল, তাই এই চুক্তিটি হওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া, সেকেন্ড লেইডি উষা ভ্যান্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইযার মাইক ওয়াল্টযসহ অ্যামেরিকার প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ডে আসন্ন সফর নিয়ে সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন- এই সফর কোনো উস্কানিমূলক নয়, এটা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সফর।
গ্রিনল্যান্ড অ্যামেরিকার দখলে নেয়ার বিষয়ে নিজের বিতর্কিত প্রস্তাবের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।