জেবিটিভি রিপোর্ট: নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) বিলুপ্ত করে তুরস্ক রাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০ বছর ধরে চলা সংঘাতে অবসানের ঐতিহাসিক আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওচালান। তিনি সংগঠনের সদস্যদের অস্ত্র জমা দিতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তুরস্কের কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টির এমপিরা বিদ্রোহী প্রধানের সঙ্গে নির্জন কারাগারে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখান থেকেই পিকেকে সংগঠনটিকে চিরতরে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানালেন তিনি।
কারাগার থেকে ওচালান লিখেছেন, এক হাজার বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসজুড়ে তুর্কি ও কুর্দিরা সর্বদা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে এবং আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য একটি জোটে থাকা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছে।
তিনি লিখেছেন, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পার্টির নেতা দেভলেত বাহচেলির আহ্বান, প্রেসিডেন্টের (রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান) প্রদর্শিত ইচ্ছা ও আহ্বানের প্রতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সৃষ্ট এই আবহে, আমি অস্ত্র সমর্পণ করার এবং এই আহ্বানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওচালানের এই আহ্বান ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রুখতে পারে।
রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৭৫ বছর বয়সী ওকালান ১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন। কারাগারে থাকা সত্ত্বেও তিনি পিকেকে’র ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওকালানের যে কোনো আহ্বানে সাড়া দেবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে। যদিও গ্রুপের মধ্যে কিছু উপদল প্রতিরোধ করতে পারে।
১৯৭৮ সালে ওচালান প্রতিষ্ঠিত পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এই গোষ্ঠীটিকে তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পিকেকের সঙ্গে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।