জেবি টিভি রিপোর্ট : আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো বলে দাবি করেছেন স্টেইট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন। বুধবার হাউয ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘ ২ দশক পর ২০২১ সালের আগাস্টে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় অ্যামেরিকা। এ ঘটনায় দীর্ঘ তদন্তে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করে হাউয কমিটি। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে হাউয ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটি বেশ কয়েকবার স্টেইট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য দেয়ার অনুরোধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। অবশেষে বুধবার হাউয কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিলেন ব্লিনকেন।
এ সময় আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালনকারী সব সেনা, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ব্লিনকেন। তিনি জানান, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগের সরকার ওই বছরের মে মাসের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করলেও কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এমন বাস্তবতায় আফগানিস্তান থেকে সেনা কমিয়ে আনা ও তালেবানের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখান থেকে সম্পূর্ণ সেনা ও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার বিকল্প ছিলো না বলে দাবি করেন ব্লিনকেন।
আফগানিস্তান থেকে অ্যামেরিকার সেনা সরিয়ে নেয়ার পর সেখানে আল-কায়েদার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থানের আশঙ্কা করা হলেও তেমনটা হয়নি বলেও জানান ব্লিনকেন।
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ায় চায়না ও রাশিয়ার চোখে অ্যামেরিকা দুর্বল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে দাবি করেন হাউয ফরেইন কমিটির চেয়ার মাইকেল ম্যাককল।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার থেকে শিক্ষণীয় কী, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস সদস্য সারা জ্যাকবের এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেইট সেক্রেটারি বলেন, কোনো দেশেই সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জাতিগঠনের পরিকল্পনা আসলে কাজ করে না।