জেবি টিভি রিপোর্ট : নথি-পত্র বিহীন অভিবাসীরা যে কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেল সরকার।
গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রথম দিনেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ’ল্যাকেন রাইলি অ্যাক্ট’ নামে এই অভিবাসন বিল পাস হয়।
এই বিলের মূল লক্ষ্য হলো অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনা এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
বিলটি ২৬৪-১৫৯ ভোটে পাস হয়েছে, যেখানে সব রিপাবলিকান এবং ৪৮ জন ডেমোক্র্যাট বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। নতুন এই বিল অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী যারা চুরি, ডাকাতি বা দোকানে চুরির মতো অপরাধে অভিযুক্ত হবেন, তাদের বিচারের সুযোগ না দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে। এই বিল পাসের পক্ষে রিপাবলিকানদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কের লরা গিলেন, জন মানিয়ন, জোসেফ মোরেলে, জোশ রাইলি, টম সুয়োজি এবং রিচি টরেস ৬ জন ডেমোক্র্যাট রয়েছেন।
বিলটির মাধ্যমে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন চুরি, লুটপাট ও অন্যান্য অ-হিংসাত্মক অপরাধে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের হেফাজতে নেয়। এই বিলের নামকরণ করা হয়েছে ল্যাকেন রাইলির নামে, যিনি একজন ২২ বছর বয়সী নার্সিং শিক্ষার্থী ছিলেন এবং গত বছর একজন অবৈধ ভেনেজুয়েলান অভিবাসীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন। খুনের মামলায় অভিযুক্ত হোসে ইবারাকে নভেম্বরে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিল পাসের আগে হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেন, আমাদের সীমান্ত সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি আজ থেকেই শুরু হলো। তিনি আরও বলেন, লেকেন রাইলি অ্যাক্ট এ কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এদিকে বিলটি পাশ হওয়ার পরপর অনেক ডেমোক্র্যাট যুক্তি দিয়েছেন যে এতে করে নিরপরাধ মানুষদের অন্যায়ভাবে আটক করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি প্রমিলা জয়পাল বলেন , মানুষ নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়া পর্যন্ত নিরপরাধ। এটা এক ধরনের ন্যায়বিচারের ভিত্তি। কিন্তু এই বিলের মাধ্যমে সেই নীতিটি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রিপাবলিকানরা যুক্তি দিচ্ছেন যে, এই বিলটি সম্প্রদায়কে সুরক্ষিত রাখার একটি পদক্ষেপ এবং এটি আইনগতভাবে বৈধ।
তবে প্রতিক্রিয়া যাই হোক এই বিলটি রিপাবলিকানদের কঠোর অভিবাসন নীতির একটি প্রতিফলন, যা নতুন প্রশাসনের অধীনে আরও কড়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।