জার্মানিকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘স্বাধীনতা’ অর্জন করতে হবে। তারা ইউরোপের ভাগ্য সম্পর্কে অনেকাংশেই উদাসীন। জার্মান পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর এমনটাই মন্তব্য করলেন সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ।
জার্মান গণমাধ্যমের মতে, মার্জের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং তাদের সহযোগী দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ২৮.৫ শতাংশ ভোট পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অর্থ তিনি সম্ভবত পরবর্তী চ্যান্সেলর হবেন।
স্থানীয় সময় রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রক্ষণশীল এই রাজনীতিবিদ ইউক্রেন যুদ্ধ মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেন।
বার্তা সংস্থা ডয়চে প্রেস-এজেন্টুর সাংবাদিকদের মার্জ বলেন, ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ মস্কোর হস্তক্ষেপের চেয়ে কম নাটকীয় নয়, কম কঠোর কিংবা শেষ পর্যন্ত কম আপত্তিজনক ছিল না।
তিনি বলেন, আমেরিকানরা, অন্তত বর্তমান সরকারের যারা আছেন, তারা ইউরোপের ভাগ্য সম্পর্কে অনেকাংশেই উদাসীন। জার্মানিকে অবশ্যই তার প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হবে এবং ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। আমি কখনো ভাবিনি একটি টিভি অনুষ্ঠানে আমাকে এমন কিছু বলতে হবে।
ন্যাটো জোটে জন্য ইউরোপের মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয়ে বেশি অর্থায়নের পাশাপাশি এবং আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে রাশিয়াকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করার বাইডেন প্রশাসনের নীতি থেকে সরে এসে মস্কোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু করেছেন। যা ইউক্রেন ও ইইউকে কোণঠাসা করে ফেলেছে।
ট্রাম্পের অন্যতম উল্লেখযোগ্য মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক অভিবাসনবিরোধী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টিকে সমর্থন করেছিলেন। দলটি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প অবশ্য সিডিইউকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতোই জার্মানির জনগণও এত বছর ধরে প্রচলিত জ্বালানি ও অভিবাসন ইস্যুতে সাধারণ জ্ঞানহীন এজেন্ডায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।’