জেবি টিভি রিপোর্ট : প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই একের পর নির্বাহী আদেশ দিয়ে চলেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এক নির্বাহী আদেশে সন্তান জন্মদানে আইভিএফ পদ্ধতিকে আরও সাশ্রয়ী করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ক্লিনিকগুলো। কারণ বিশ্বের অনেক দেশের মতোই অ্যামেরিকাতেও নানা কারণে জন্মহার কমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশের ফলে কম খরচে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানে দেশের নারীরা আগ্রহী হবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প গর্ভপাতের বিষয়ে তার কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে এটি অ্যামেরিকা জুড়ে আইন করে নিষিদ্ধ করার বিষয়েও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যদিও সে সময় তার এই ইচ্ছার বাস্তবায়ন হয়নি। তবে দ্বিতীয়বারের মতো আবারো ক্ষমতায় এসে তিনি দেশে জন্মহার বাড়াতে এক নির্বাহী আদেশে আইভিএফ পদ্ধতিকে আরো সাশ্রয়ী করতে বলেছেন।
ইন ভিটরো ফারটিলাইজেশন, সংক্ষেপে আইভিএফ। নানা শারীরিক জটিলতার কারণে যেসব নারীরা স্বাভাবিক উপায়ে গর্ভধারণ করতে পারেন না, ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে ডিম্বানুতে শুক্রানু প্রতিস্থাপন করে তারা সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হন। আর এই পদ্ধতি যেমন জটিল, তেমনি ব্যয়বহুলও। যে কারণে অনেক বন্ধ্যা দম্পতি ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মা-বাবা হতে অপারগ।
প্রসূতি-স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যারেনে ফ্রু, এই বছরের শুরুতে জর্জিয়ার স্যান্ডি স্প্রিংসে মুনা ফার্টিলিটি নামে নিজের অর্থায়নে একটি আইভিএফ ক্লিনিক খুলেছেন। প্রেসিডেন্টের নতুন এই নির্বাহী আদেশের কারণে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ তার ক্লিনিকের পরিষেবাগুলো এখন বিশেষভাবে সময়োপযোগী হয়ে উঠেছে।
ক্যারেনে ফ্রু বলেন, ‘অ্যামেরিকানদের কাছে আইভিএফ এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও বেশি সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলা প্রয়োজন। কারণ এই চিকিৎসায় প্রতিবারে খরচ পরে ১২ থেকে ২৫ হাজার ডলার।’
ফ্রু আরও বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, এটি শুধু নির্বাহী আদেশ নয়, এটি প্রকৃত আইনে পরিণত হবে। এ আইন বাস্তবায়িত হলে অনেক বেশি মানুষের জন্য আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।’
ডমেস্টিক পলিসির আওতায় প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে আইভিএফ-এর খরচ কমানোসহ অন্যান্য সুপারিশের তালিকা সরবরাহের জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে।