joybangladesh.tv
Saturday, June 7, 2025

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প

Share

জেবি টিভি রিপোর্ট : জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনটি জরুরি আবেদন দাখিল করে বলা হয়, নিম্ন আদালতের বিধিনিষেধ সীমিত করে, তাঁর উদ্যোগ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হোক। এ প্রসঙ্গে অ্যাকটিং সলিসিটির

জেনারেল সারাহ হ্যারিস বলছেন, তারা মূলত সর্বোচ্চ আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, গ্রিনকার্ড থাকলেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যামেরিকার বসবাসের অধিকার পায় না কেউ। ফক্স নিউযের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার ছয় সপ্তাহের মাঝেই সীমান্ত সংকট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে প্রশাসন।

গত ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতায় বসেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে নির্বাহী আদেশে সই করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।তখনি ধারণা করা হয়েছিলো এর বিরুদ্ধে মামলা হবে।সেটাই হয়েছে এবং এখন পরযন্ত দেশের চারটি নিম্ন আদালত ট্রাম্পের আদেশ স্থগিত করে রায় দিয়েছে।

একদিকে যুক্তি দেখানো হচ্ছে ১৪তম সংবিধান সংশোধনীর ১৪০ বছরের ইতিহাসের উপলব্ধিকো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ। যেখানে বলা আছে অ্যামে- রিকায় জন্ম নেয়া কিংবা শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা একজন ব্যক্তি নাগরিকত্বের মর্যাদা পাবেন।

অন্যদিকে রক্ষণশীল আইনজ্ঞরা বলছেন, ১৪তম সংশোধনী তখনি কারযকর হবে যখন শিশুর পিতা-মাতার যেকোন একজনের এই দেশের নাগরিকত্ব থাকবে। এমন বিতর্কিত একটি উদ্যোগের কূল-কিনার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আইনজ্ঞরা বলছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ওই উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প।বিশেষ করে রেডস্টেইটগুলোতে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চেষ্টা চালাবেন প্রেসিডেন্ট। এজন্য অবশ্য অন্তত উচ্চ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সমর্থন লাগবে তাঁর।

এদিকে, গ্রিনকার্ড থাকলেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যামেরিকার বসবাসের অধিকার পায় না কেউ বলে মনে করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ফক্স নিউযের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রেসিডেন্ট এবং স্টেইট সেক্রেটারি গ্রিন কার্ড কিংবা স্টুডেন্ট ভিসাধারীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ভ্যান্স দাবি করেন, দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহের মাঝেই সীমান্ত সংকট প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে প্রশাসন। এমনকি অবৈধভাবে শরণার্থী প্রবেশ ৯৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

আরও পড়ুন

আরও সংবাদ