জেবি টিভি রিপোর্ট : আলবেনীর রাস্তায় স্থাপিত গতি নিয়ন্ত্রণের ক্যামেরার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। যদিও সিটির পরিবহণ বিভাগের (ডিওটি) নতুন গবেষণা বলছে,
ক্যামেরা স্থাপনের ফলে রাস্তার গতি নিয়ন্ত্রণের অনেক উন্নতি হয়েছে । আগামী জুনে এই ক্যামেরা চলমান রাখার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে এও বলে থাকেন যে এধরনের ক্যামেরা স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অর্থদণ্ড। সিটির পরিবহণ বিভাগের (ডিওটি) নতুন গবেষণা মতে স্পিড ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এমন জায়গাগুলিতে গতিবেগ ৯৪ শতাংশ কমেছে ।
২০১৪ সালে প্রোগ্রামের শুরু থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এমন জায়গাগুলিতে গতি নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২১ থেকে ২০২৩ – তাদের এই তিন বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় স্পিড ক্যামেরা কার্যকরভাবে ট্র্যাফিক ইনজুরি এবং প্রাণহানি কমিয়েছে।
২০০৯ থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির বিভিন্ন ব্যস্ততম স্থান এবং স্ট্রিটগুলোতে গতি নিয়ন্ত্রক ক্যামেরা স্থাপিত রয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী এই ক্যামেরা ব্যবস্থা চলমান রাখার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই জুনে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই মেয়াদ নবায়ন না করার দিকে এগোচ্ছে। যদিও সিটির পরিবহণ বিভাগের কমিশনার ইদানিস রদ্রিগেজ স্টেট আইন প্রণেতাদের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে যদিও ক্যামেরা স্থাপনের ফলে অতিরিক্ত গতির ঘটনা কমেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাও কমেছে। তবে এর প্রভাব পড়েছে যেখানে ক্যামেরা স্থাপন করা নেই এমন স্থান বা স্ট্রিটগুলোতে। জর্জিয়া ভিত্তিক আইনি পরামর্শক সংস্থা ব্যাডার স্কট ইনজুরি লয়ার্স-এর একজন মুখপাত্র বলেন, “যেখানে ক্যামেরা রয়েছে ড্রাইভার সেখানে হয়ত আইন মানছেন কিন্তু ঠিক যে হুমুর্তে ক্যামেরার দৃষ্টির বাইরে বের হচ্ছে ড্রাইভার তার গতি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার একই সাথে এও হচ্ছে যে ক্যামেরা নেই এমন জায়গায় যে গতিতে গাড়ি চলছে কিন্তু ক্যামেরার আওতায় আসলেই হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে নিয়ন্ত্রণ কমাচ্ছেন। এতে এক জায়গায় দুর্ঘটনা কমলে অন্য জায়গায় বাড়ছে। সো, আলবেনীতে ক্যামেরার মেয়াদ বৃদ্ধির আগে আমাদের এসব নিয়েও ভাবতে হবে।